NRC তে বাদ পড়া ব্যক্তিরা এবার থাকবে ডিটেনশন ক্যাম্পে! অসমে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম ডিটেনশন ক্যাম্প, থাকছে বিশেষ পরিষেবা

Published On:

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক : হয় নাগরিকত্বের প্রমাণ দাও তা না হলেই ঠাঁই হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে৷ 31 আগস্ট তারিখে প্রকাশিত অসমের চূড়ান্ত নাগরিক ও জিকায় যাঁদের নাম বাদ পড়েছে তাঁদের আপাতত ঠাঁই হতে চলেছে অসমের গোয়ালপাড়ার শরণার্থী শিবিরে৷ ইতিমধ্যেই সেখানে দেশের প্রথম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির প্রস্তুতি পর্ব চলছে জোর কদমে৷ তাই এত দিন অবধি যাঁরা মিলে মিশে একই পাড়ায় একই সঙ্গে বাস করতেন তাঁদের ভুলে যেতে হবে সেই সমস্ত ফেলে আসা দিনগুলি৷ 120 দিনের মধ্যেই যাঁরা নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে পারবেন না তাঁদের ঠাঁই হবে উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা শরণার্থী শিবিরে৷ যাঁকে অনেকেই বলছেন জেলখানা৷ এখানকার বাসিন্দা হবেন প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ৷

সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যাবেন তাঁরা, গুয়াহাটি থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরে মাটিয়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে দেশের সর্বপ্রথম ডিটেনশন ক্যাম্প৷ কুড়ি ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে এই শরণার্থী শিবিরের চারপাশ৷ একই সঙ্গে ছয় ফুটের ঘেরাটোপ থাকবে যাতে তমা ও নাগরিকদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ না করতে পারেন৷ যদিও জীবনযাত্রা পরিচালনার জন্য যাবতীয় পরিষেবার সুযোগ পাবেন তাঁরা৷ কারণ 2.5 হেক্টর জমির উপরে তৈরি ডিটেনশন ক্যাম্পের মধ্যে থাকছে ফোন দুটি চার তলা বাড়ি, মহিলা পুরুষ সকলের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা থাকবে৷

একসঙ্গে এই ক্যাম্পে তিন হাজার মানুষ থাকার সুবিধা পাবেন৷ এ ছাড়াও স্কুল স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শৌচালয়, রান্নাঘর, অডিটোরিয়াম সমস্তটাই থাকবে এই শরণার্থী শিবিরের মধ্যে৷ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এর নির্মাণকাজ শেষ হতে চলেছে৷ 31 আগস্ট তারিখের পর এখনও চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে, এই চার মাসের মধ্যেই নাগরিক পঞ্জির তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিরা প্রথমে ফরেন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন তার পর সেই রায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করতে পারবেন৷ যদি প্রমাণ দিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে তাঁদেরই হতে হবে অন্য পৃথিবীর বাসিন্দা৷

X