বাংলা হান্ট ডেস্ক : মোদী সরকারের প্রথম জমানা থেকেই দেশের রেল পরিষেবাকে বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল যদিও তা দ্বিতীয় জমানায় এসে কাজ শুরু হলেও৷ প্রথম ধাপেতেজস এক্সপ্রেস কে আইআরসিটিসির হাতে তুলে দিল ভারতীয় রেল৷ এবার বেসরকারিকরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল রেল দফতর৷ 4 অক্টোবর থেকে দেশের মাটিতে প্রথম বেসরকারি রেল চলাচল শুরু হচ্ছে৷ দিল্লি থেকে লখনউ রুটে তেজস এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করলেন আদিত্যনাথ যোগী৷
কিছুদিন আগেই বেসরকারি ভাবে এই ট্রেন চালানোর জন্য দরপত্র ডেকেছিল রেল দফতর আর সেই দরপত্র গ্রহণে রাজি হয়েছে আইআরসিটিসি তাই এখন থেকেই তেজস এক্সপ্রেসের পুরো দায়িত্ব আইআরসিটিসির৷ যদিও ট্রেনের টিকিটের দাম অনেকটাই বেশি কিন্তু পরিষেবা রাজকীয় এমনটাই সূত্রের খবর৷ ট্রেনে চড়ার জন্য এসি কারের ভাড়া পড়বে1280 টাকা এবং এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারের জন্য ভাড়া পড়বে 2450 ঢাকা৷ ট্রেনটি যেমন পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তেমনই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি হয়েছে ট্রেনের কামরা৷
ইন্টারনেটের পরিষেবা তো থাকছেই তার সঙ্গে সিটের পিছনে কম্পিউটারের মতো মেশিন আটকানো থাকছে৷ অন্যান্য সুবিধা গুলির মধ্যে যাত্রীরা 25 লক্ষ টাকার বিমা পাবেন পাশাপাশি ট্রেন দেরিতে পৌঁছলে ওই ট্রেনের যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ পাবেন৷ 2 ঘণ্টার বেশি দেরি হয়ে গেলে যাত্রীরা 250 টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন৷ এখানেই থেমে যাচ্ছে না ট্রেনটিতে বিমান সেবিকার মতো সেবিকা রয়েছে পাশাপাশি বিমানের টিকিট, ট্যাক্সি বুকিং এবং লাগেজ নিয়ে যাওয়া আসার বিশেষ সুবিধা পাবেন যাত্রীরা৷
দেশে এই প্রথমবার বেসরকারি ভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও অনেক উন্নত পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা তাই ইতিমধ্যেই সেপ্টেম্বর মাসেই ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য রীতিমতো হুড়মুড় লাগিয়ে দিয়েছিলেন যাত্রীরা৷