বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও লাভ জিহাদ (Uttarpradesh Love Jihad) সংক্রান্ত বিতর্ক উত্তরপ্রদেশে। একটি মামলাযর রায়ে এক মুসলিম যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এরই সঙ্গে তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের আম্রোহার হাসানপুর এলাকায় এক মুসলিম যুবক ধর্ম লুকিয়ে একটি নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বলে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। দায়ের হয় মামলা। ওই মামলাতেই অভিযুক্ত যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের আদালত। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রথমবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) লাভ জিহাদ বিরোধী আইন প্রণয়ন করেন। ওই আইন ঘিরে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক বিতর্ক। মুসলিম সমাজ ও বিরোধীদের একাংশ অভিযোগ করে, ধর্মীয় মেরুকরণের লক্ষ্যে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের লক্ষ্যেই এই আইন নিয়ে আসা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সেই আইনে এটাই প্রথম সাজা ঘোষণা।
হিন্দু শিবিরের অভিযোগ, মুসলিম পুরুষদের অমুসলিম মহিলাকে বিয়ে করা ধর্মান্তকরণেরই একটি ভিন্ন প্রক্রিয়া। অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ম পরিচয় গোপন করে সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করা হয়। এই প্রবণতা থামাতেই লাভ জিহাদ বিরোধী আইন চালু করা হয়। এরপর উত্তরপ্রদেশকে দেখে বিজেপি শাসিত অনেক রাজ্য এই ধরনের আইন প্রণয়ন করেছে।
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাসানপুর-গজরৌলা সড়কে এক ব্যবসায়ীর নার্সারী রয়েছে। ব্যবসায়ীর গাড়ি চালাত মহম্মদ আফজল নামে এক তরুণ। সে নার্সারির মালিকের বছর ষোলো বয়সি মেয়েকে নিয়ে দিল্লি পালিয়ে যায়। অভিযোগ, মেয়েটির কাছে আফজল নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দেয়। পরে মেয়েটি ওই তরুণের ধর্ম পরিচয় জানতে পারার পরই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে অস্বীকার করে।
আফজল কিশোরীকে বিয়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে এবং তাকে দিল্লি নিয়ে যায়। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, আফজল মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য পীড়াপীড়ি শুরু করলেও সে বিরোধিতা করে। মেয়েটির বাবার অভিযোগ পেয়ে পুলিস তাদের দু’জনকেই দিল্লি থেকে ধরে আনে। আফজালের বিরুদ্ধে ধর্ম লুকিয়ে বিয়ের চেষ্টা করার অভিযোগও করে ওই কিশোরী।
কিশোরীর বিবৃতির ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিস ধর্ম নিষেধাজ্ঞা অধ্যাদেশ ২০২০-র বিধান বলে এফআইআর দায়ের করে। জেলা পকসো আদালত আফজলকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
Made in India