সীমান্তে জারি উত্তেজনার মাঝে প্রথমবার মুখোমুখি হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর জিনপিং

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে চীন আর ভারতের (India) মধ্যে চলা উত্তেজনার মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আর চীনের রাষ্ট্রপতি জিনপিং (Xi Jinping) মুখোমুখি হতে চলেছেন। দুই দেশের প্রধান ১৯ নভেম্বর ২০২০ তে হতে চলা ব্রিকস সন্মেলনে ফেস-টু-ফেস হবেন। যদিও, দুই শক্তিধর দেশের নেতাদের এই সাক্ষাৎ অনলাইনে হবে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত ১৮ বার দুজন মুখোমুখি হয়েছে। এই ১৮ টি সাক্ষাতের মধ্যে দুটি অনানুষ্ঠানিক শিখর সন্মেলন ছিল। একটি সন্মেলন ২০১৮ সালে বুহানে হয়েছিল, আরেকটি ২০১৯ এ মামাল্লাপুরামে হয়েছিল।

এবার দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে জারি উত্তেজনার মধ্যে প্রথমবার ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে মুখোমুখি হতে চলেছেন মোদী-জিনপিং। এই দুই নেতা BRICS বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেমে অংশ নেবেন। BRICS এর মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী আর জিনপিং ছাড়া রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি আর সাউথ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থাকবেন।

ব্রিকস কর্তৃক প্রদত্ত সরকারী বিবৃতি অনুযায়ী, ব্রিকস দেশগুলির নেতাদের বৈঠকের মূল বিষয় হল বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা, অংশীদারিত্বের সুরক্ষা এবং উদ্ভাবনী উন্নয়ন।” ২০২০ তে রাশিয়ার ব্রিকস এর বৈঠক আয়োজন করার মূল উদ্দেশ্য হল, ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা। মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে অবদান রাখা। ব্রিকসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ বছর পাঁচটি দেশ তিনটি প্রধান স্তম্ভ – শান্তি ও সুরক্ষা, অর্থনীতি ও অর্থ, সাংস্কৃতিক এবং জনগণের সাথে আদান-প্রদানের বিষয়ে তাদের গভীর কৌশলগত অংশীদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে”।

আপনাদের জানিয়ে দিই, ব্রিকসের এই সন্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী আর জিনপিং যতই মুখোমুখি হোক না কেন, ওনাদের মধ্যে আলাদা করে কোনও কথাবার্তাই হবেনা। আরেকদিকে, একদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিমাচল প্রদেশে বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘ টানেলের উদ্বোধন করেছেন। আর এই টানেলের উদ্বোধনের একদিন পরেই চীন থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সবার আগে ওই টানেল ধ্বংস করা হবে। চীনের এই মন্তব্যে বেজায় চটে আছে ভারত।

X