বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মাছে (Fish) ভাতে বাঙালির (Bangali) জীবনে সঙ্কট আসতে চলছে। কমে যাচ্ছে সামুদ্রিক মাছের পরিমাণ। মাছের এই অস্তিত্ব রক্ষায় এগিয়ে এসেছে সমুদ্র বিজ্ঞানীরা (scientist)। মাছের চুরি যাওয়াকে আটকাতে এক হয়েছে সকলে।
গবেষকরা মনে করছেন নির্বিচারে সামুদ্রিক মাছ শিকার , অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ ভাবে মাছ ধরা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগর মৎস্যশূন্য হয়ে যাবে। সামুদ্রিক মৎস্য গবেষণা ও জরিপের মাধ্যমে এ মূল্যায়ন করে জানিয়েছেন গবেষকরা। কাঠের তৈরি ট্রলার, মাঝারি ট্রলার এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলার ব্যবহার করে সমুদ্র থেকে মাছ ধরা হয়। এমনকি অনেক সময় এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ভিন দেশ থেকেও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে আসেন অনেকে। এর ফলে সমুদ্র থেকে মাছের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে বলে অনুমান করা হয়।
সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীরা জানায় বাংলাদেশি সমুদ্রসীমায় প্রায়ই ভারত ও মায়ানমারের মাছ ধরা ট্রলার ঢুকে পড়ে। এমনকি বাংলাদেশের সীমানায় মাছধরা নিষিদ্ধ থাকলে, সেখানেও অনেকে সময় এদের দেখা যায়। আবার অনেক সময় মাঝ সমুদ্রে ট্রলার বা জাহাজ ডুবে যাওয়ায় তেল পড়েও অনেক মাছ মারা যায়। ফলে সমুদ্রে মাছের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মাছের সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন সমুদ্র বিশারদরা এগিয়ে এসেছেন। যাতে করে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয় এবং সমুদ্রে মাছের তারতম্য বজায় রাখে সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে সরকারী তরফ থেকে। বিভিন্ন ধরনের মাছের যাতে চাষের পরিমাণ আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও ভাবছেন তাঁরা। সমুদ্র তলের ১০-২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত সমীক্ষায় চালাচ্ছেন গবেষকরা।