উত্তাল সমুদ্রে ব্যারেল জাপটে বেঁচে থাকার লড়াই। জয়ী হয়ে ফিরলেন তিন মৎসজীবী।

বাংলা হান্ট ডেস্ক : মেদিনীপুরের ৫ মৎসজীবী মঙ্গলবার ভোরে শঙ্করপুর থেকে যন্ত্রচালিত বোটে চেপে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।  কিন্তু  দুর্ভাগ্যক্রমে শঙ্করপুর থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে তাদের  বোটটি খারাপ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ঢেউয়ের তোড়ে তাতে ফুটো হয়ে ডুবেও যায়। তখন সন্ধে সাতটা হবে। তার পর থেকেই বাঁচার চেষ্টায় লড়াই শুরু হয় ৩ মত্সজীবীর। অন্য ২ জন বেগতিক দেখে আগেই পালিয়ে যান।নৌকোডুবির পর সমুদ্রে কয়েক ঘণ্টা  বেঁচে থাকার রুদ্ধশ্বাস লড়াই করে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন ৩ মত্সজীবী। তাদের অন্য ২ সঙ্গী একটি ট্রলারে গিয়ে উঠেছেন বলে খবর।তেলের খালি ব্যারেল ও বাঁশ আঁকড়ে ধরে তারা ভাসতে থাকেন সমুদ্রে। শেষপর্যন্ত  রবিবার রাতে , ওই ৫ মত্সজীবীদের মধ্যে ৩ জন  এসে ওঠেন দীঘার ক্ষণিকা ঘাটে।  দীঘা থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ।এরা হলেন শুকদেব মাঝি, বাড়ি চিংড়া ভূপতিনগর, বিকাশ দাস ও নন্দকুমার নন্দ। শেষ দুজনেই বাড়ি উত্তর ডিহিবাড়।

IMG 20190909 132110

গৌতম বর্মন ও স্বদেশে নামের বাকি দুই মৎসজীবী র খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বোট ডুবে যাচ্ছে দেখে তারা সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে দূরে একটি ট্রলারের আলো দেখে এগিয়ে যান। তার পর থেকে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা শেষপর্যন্ত একটি ট্রলারে উঠেছিলেন।সোমবার তারা ওয়ারলেসের মাধ্যমে পুলিসকে তাদের বেঁচে থাকার খবর জানান।দক্ষিণ ২৪ পরগনার মত্সজীবী রবীন্দ্রনাথ দাস গত জুলাই মাসে বঙ্গপোসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন কিন্তু মাঝ সমুদ্রে উল্টে যায় ট্রলার। টানা ৫ দিন তিনি জলে ভেসে থেকে বেঁচে থাকার লড়াই চালান।খাবার, জল এমনকি লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ৫ দিন সমু্দ্রে বেঁচেছিলেন তিনি।

সম্পর্কিত খবর