বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শহরের বুকে গভীর রাতে হেঁটে চলেছেন স্বয়ং দক্ষিণ রায়। না গল্প নয় সত্যি এই আতঙ্ক গ্রাস করল কোন্নগর বাসীকে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ছবি ধরার পরার পড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। সিসিটিভি তে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা যাচ্ছে একটি মিনিডোর গাড়ির পাশ দিয়ে রাজকীয় ভাবে হেঁটে যাচ্ছে বাঘের মত একটি প্রানী। যদিও বন দপ্তর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে প্রানীটি কোনো ভাবেই বাঘ নয়, বাঘরোল।
হুগলির কোন্নগরে কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসাই এলাকার ঘটনা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই যুবকেরা বাঘের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে অস্ত্র হাতে। যদিও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ১২ জানুয়ারি রিষড়ার বাগখাল এলাকায় একটি বড় বাঘরোল বা মেছোবিড়াল দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার গড়ন দেখে অনেকেই বাঘরোল ভেবে ভুল করেছিল।
মেছোবাঘ, বাঘরোল বা মেছো বিড়াল ( Fishing Cat), (বৈজ্ঞানিক নাম:Prionailurus viverrinus) মাঝারি আকারের বিড়ালগোত্রীয় একধরনের স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী।
ব্রাজিল, কোস্টারিকা, বাংলাদেশ, ভারত, বলিভিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, লাউস, শ্রীলঙ্কায় এরা স্থানীয়ভাবে বাঘরোল নামে পরিচিত। এদের আবাসস্থল থাইল্যান্ড ও এল সালভাদোর। বিগত কয়েক দশকে বাঘরোলের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। জনবসতি স্থাপন, কৃষিজমিতে রূপান্তর ও অন্যান্য কারণে বাঘরোলের আবাসস্থল জলাভূমিগুলো দিন দিন সংকুচিত ও হ্রাস পাওয়াই এর মূল কারণ। তাই আইইউসিএন ২০০৮ সালে মেছোবাঘকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে।বাঘরোল সাধারণত নদীর ধারে, পাহাড়ি ছড়া এবং জলাভূমিতে বাস করে। এরা সাঁতারে পারদর্শী হওয়ায় এধরনের পরিবেশে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে। এদের গায়ে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকার জন্য চিতাবাঘ বলেও ভুল করা হয়।