পাঁচ মিনিটেই ধৃত পাঁচজনকে শণাক্ত নির্যাতিতার, দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্গাপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ (Durgapur Rape Case) কাণ্ডে নতুন মোড়। ধৃত পাঁচজন যুবককে শণাক্ত করলেন নির্যাতিতা ছাত্রী। শুক্রবার টিআই প্যারেডে একবার মাত্র দেখেই ওই পাঁচ যুবককে শণাক্ত করলেন তিনি। তবে এদিনের টিআই প্যারেডে নির্যাতিতা ছাত্রীর সহপাঠীকে রাখা হয়নি। যেহেতু নির্যাতিতা তাঁকে আগে থেকেই চিনতেন।

দুর্গাপুর ধর্ষণ (Durgapur Rape Case) কাণ্ডে ধৃত পাঁচজনকেই শণাক্ত নির্যাতিতার

গত বুধবার দুর্গাপুর (Durgapur Rape Case) মহকুমা আদালতের বিচারক টিআই প্যারেডের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো শুক্রবার নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ নির্যাতিতা ছাত্রী ও তাঁর মাকে নিয়ে পৌঁছায় দুর্গাপুর উপ সংশোধনাগারে। তার কিছুক্ষণ পরেই পৌঁছান দুর্গাপুর (Durgapur Rape Case) মহকুমা আদালতের বিচারক রাজীব সরকার। তাঁর উপস্থিতিতেই শুরু হয় টিআই প্যারেড।

Five accused identified by durgapur rape case victim

দ্রুত শণাক্ত করেন নির্যাতিতা: সূত্রের খবর, সমগ্র প্রক্রিয়াটি মাত্র ৫ মিনিটেই সম্পন্ন হয়। কারণ প্যারেডে দেখা মাত্রই ওই পাঁচ যুবককে শণাক্ত করেন নির্যাতিতা মেডিকেল ছাত্রী (Durgapur Rape Case)। এদিন আরও তিনজনকে রাখা হয়েছিল ‘ডামি’ হিসেবে। তবে ধৃত পাঁচ যুবককেই শণাক্ত করেন নির্যাতিতা। জানা যাচ্ছে, ঘটনার দিন মোবাইলের আলোতে পাঁচজনেরই মুখ দেখেছিলেন নির্যাতিতা ছাত্রী। টিআই প্যারেডের ভিডিওগ্রাফি করা হয়।

আরও পড়ুন : মা শুভশ্রীর কোলে বসে ভাইফোঁটা ইয়ালিনীর, প্রণামের কথা বলতেই যা কাণ্ড করল ইউভান…

মূল চক্রী কে: আগামী সোমবার ধৃত যুবকদের ফের আদালতে তোলা হবে। ওইদিনই টিআই প্যারেডের রিপোর্ট পেশ করা হবে। যদিও নির্যাতিতার (Durgapur Rape Case) আইনজীবীর দাবি, এই ঘটনার ‘মূল চক্রী’ সহপাঠী ওয়াসেফ আলি। তিনি আরও দাবি করেন, ধৃত পাঁচ যুবক ওয়াসেফ আলির পূর্বপরিচিত। বিজড়া গ্রামে নাকি নিয়মিত যাতায়াত ছিল তাঁর।

আরও পড়ুন : SIR শুরু হলে ক্ষমতা থাকবে নির্বাচন কমিশনের হাতে, বাংলায় BLO দের স্বস্তি দিয়ে জারি হচ্ছে নোটিশ

নিউটাউনশিপ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে ধৃত ফিরদৌস শেখের সঙ্গে প্রথমে পরিচয় হয় ওয়াসেফের। তাঁর সূত্রেই আলাপ বাকিদের সঙ্গে। আইকিউ সিটি মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের পেছনের গেট থেকে নিকটবর্তী ফুচকার দোকান প্রায় ১ কিমি দূরে। কিন্তু মূল গেট থেকে বেরোলেই ফুচকার দোকান রয়েছে সামনেই। তবে কেন অত দূরে গিয়েছিলেন তাঁরা? এছাড়াও প্রশ্ন উঠছে, ওয়াসেফ আলি সঙ্গে কন্ডোম কেন নিয়ে গিয়েছিলেন? তিনিই এই ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে দাবি নির্যাতিতার আইনজীবীর।