বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানে এক হিন্দু পরিবারের পাঁচজনকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনা রহিম ইয়ার খান শহরের থেকে ১৫ কিমি দূর চৌক নং ১৩৫, আবুধাবি কলোনিতে ঘটেছে।
টেলিরিংয়ের কাজ করে দিন যাপন করা হিন্দু ব্যক্তি রামচন্দ্র মেঘবালের পরিবারের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই পরিবারের পাঁচজনকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় সংখ্যালঘু হিন্দু আর শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশানাল অনুযায়ী, আবুধাবি কলোনির বাসিন্দা মেঘবাল পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে ধারালো হাতিয়ার দিয়ে কোপানো হয়েছে। পাকিস্তানের পুলিশ মৃত ব্যক্তির বাড়ি থেকে চাকু আর কুড়ুল উদ্ধার করেছে। হামলাকারীরা এই অস্ত্র দিয়ে নৃশংস হত্যালীলা চালিয়েছিল।
রামচন্দ্র মেঘবালের বয়স ৩৫-৩৬ বলে জানা গিয়েছে। তিনি নিজের পরিবারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে জীবনযাপন করছিলেন। কিন্তু কট্টরপন্থীদের সেটা ভালো লাগেনি। যদিও হামলা কে করেছে, আর কেনই বা করেছে সেটা এখনও জানা যায়নি।
বলে রাখি, পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দু আর শিখেদের উপর অত্যাচারের কাহিনী নতুন নয়। কখনো সেখানে সংখ্যালঘুদের দোকানে লুটপাট চালানো হয়, আবার কখনো সংখ্যালঘুদের মা-বোনদের তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্মান্তকরণ করানো হয়। আর সংখ্যালঘু হিন্দু এবং শিখেদের ধর্মস্থানে হামলা করা জলভাত হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের ইমরান সরকার এই কট্টরপন্থীদের উপর লাগাম লাগাতে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।