বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসন্ন লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। প্রস্তুতি শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই। এরই মধ্যে নতুন ভোকাল টনিক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন নমো ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে রামমন্দির ছাড়াও অন্যান্য বিষয়গুলিতে মনোযোগ দিতে পরামর্শ দিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকদের।
শুধু রামমন্দির (Ram Mandir) নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই চলবে না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগ রাখতে হবে, তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। বিয়েবাড়ির মতো অনুষ্ঠানে গিয়েও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Election) আগে এমনই দলীয় সাংসদদের একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন তিনি। সোমবার উত্তরপ্রদেশের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, লোকসভায় এনডিএ জোটের ৪৩০ জন সাংসদকে মোটি ১১টি দলে ভাগ করা হয়েছে। আগামী দশ দিনের মধ্যেই নানা সময়ে এই ১১টি দলের সঙ্গে বৈঠক বসার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। মোদি ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করিদের মতো বিজেপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকতে পারেন এই বৈঠকে। এছাড়াও থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
উত্তরপ্রদেশের ব্রজ, কানপুর-বুন্দেলখণ্ড ও পশ্চিমাঞ্চলের সাংসদদের নিয়ে প্রথম বৈঠকটি করেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংসদদের আরও বেশি করে জনসংযোগের দিকে মন দিতে বলেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর মতে, শুধুমাত্র রাম মন্দির নিয়ে ব্যস্ত থাকলে মোটেই চলবে না। ২০২৪ সালের নির্বাচন জিততে হলে ভোটারদের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে হবে। গেরুয়া শিবিরের প্রতি যাঁরা অসন্তুষ্ট, তাঁদের রাগ ভাঙাতে হবে। তার জন্য নিজেদের নির্বাচনে কেন্দ্রের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে হবে মানুষের সঙ্গে। দরকার হলে বিয়েবাড়ির মতো অনুষ্ঠানেও পৌঁছে যেতে হবে সাংসদদের।
এই বৈঠকে বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটকেও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিরোধীদের মতো স্বার্থপর জোটে বিশ্বাসী নয় এনডিএ (NDA)। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উদাহরণ টেনে মোদি বলেন, বিজেপির তুলনায় অনেক কম বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও এনডিএ জোট ভেঙেছেন নীতীশ কুমার। প্রসঙ্গত, আগেও একাধিকবার ইন্ডিয়া জোটকে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।