বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর তো প্রায় শেষ হতে চলল। কিন্তু ওজনের ঘর কমার বদলে আরও বেড়েই গিয়েছে? এই বছরের রেজোলিউশন আদৌ মানা হয়নি। এদিকে সামনেই বড়দিন, নববর্ষ, সরস্বতী পুজো মানে উৎসবের মুড পুরো তুঙ্গে। এমন অবস্থায় ওজন কমিয়ে একটু স্লিম-ট্রিম দেখাতে কার না মন চায়। চিন্তা নট! ওজন কমানোর অব্যর্থ উপায় আপনার হাতের কাছেই রয়েছে। উপরন্তু আপনার ফিগারও হয়ে উঠবে একেবারে শ্রদ্ধা কাপুরের মতো!
শ্রদ্ধা কাপুরের মতো ঈর্ষনীয় ফিগার সবারই কাম্য। কিন্তু তার জন্য পরিশ্রমও করতে হবে। পরবর্তী ‘স্ট্রিট ডান্সার থ্রিডি’ ছবির জন্য একজন স্ট্রিট ডান্সারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। এর জন্য বেশ খানিকটা ওজন ঝরাতে হয়েছে তাঁকে। থাকতে হয়েছে কড়া ডায়েটের আওতায়। অভিনেত্রীর ইন্টস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট দেখলেই বুঝতে পারবেন কতটা ডায়েট মেনে চলেন তিনি। এখানে রইল সেই ডায়েট চার্ট।
বাড়িতে বানানো খাবারের বিকল্প কিছু হয়না। শ্রদ্ধারও একই মত। বাইরের ফাস্ট ফুড যতই লোভনীয় হোক না কেন তা কিন্তু শেষপর্যন্ত ওজন বাড়ানোরই কারণ হবে। তাই ওজন কমাতে হলে ফাস্ট ফুডকে বিদায় জানান। শ্রদ্ধা নিজে পাঞ্জাবি ও মারাঠি খাবারের খুব বড় ভক্ত। তিনি নিজেও এর আগে জানিয়েছিলেন এই কথা। বাবা পাঞ্জাবি ও মা মারাঠি হওয়ার সুবাদে এই দুই রাজ্যেরই খাবারের সঙ্গে ভালভাবে পরিচিত শ্রদ্ধা। মারাঠি ধরনে বানানো মাছ ভাজা, জিলাপি দেখে লোভ সম্বরন করতে পারেন না বলেও জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ডায়েট বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাতরাশ সবসময় ভরপেট খাওয়া উচিত। এটাই সারাদিনের শক্তি দেবে আপনাকে। শ্রদ্ধারও পছন্দ এমন ধরনের প্রাতরাশ যা দীর্ঘক্ষণ তাঁর পেট ভর্তি রাখবে। সাধারণত, প্রাতরাশে তিনি চিড়ে, স্ক্র্যাম্বলড এগ বা অমলেট, ফল ও ফলের রস খান। প্রাতরাশের পর জিমে যাওয়া শ্রদ্ধার প্রতিদিনের কাজ।
দুপুরে হালকা ও পুষ্টিকর খাবার পছন্দ করেন অভিনেত্রী। যখন শুটিং থাকে না তখন দুপুরের খাবারে রুটি, ডাল ও প্রচুর শাকাসবজি খান। ডালের মাধ্যমে তাঁর শরীরে আসে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও ফাইবার। অপরদিকে সবুজ শাকসবজিও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। নৈশাহারে গ্রিলড ফিশ বা চিকেন, ব্রাউন ব্রেড বা রাইস, এটাই খান শ্রদ্ধা। প্রতিদিন রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। তাণর মতে এটাই ফিট ও সুস্থ থাকার সবথেকে ভাল উপায়।