বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কালী পুজোর আগের রাতেই পালিত হয় এক ভূতুড়ে উৎসব, যা ভূতচতুর্দশী (bhoot chaturdashi) নামে খ্যাত। ভূতে ভয় পেলেও, যেন এই দিনের অপেক্ষাতেই বছর জুড়ে অপেক্ষা করে থাকে মানুষজন। দীপাবলী (Diwali) মানেই ঘরে ঘরে আলোর রোশনাই। বিভিন্ন রীতিনীতি মেনে মানুষ নিজের জীবনে সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বহুকাল ধরে পালন করে আসছে দীপাবলি। চলুন এবারে ভূতচতুর্দশীর তাৎপর্য জেনে নেওয়া যাক।
ভূতচতুর্দশীর আগের দিন খেতে হয় চোদ্দশাক
কালী পুজোর আগের রাতে বাঙালীর প্রতি ঘরে ঘরেই জ্বালানো হয়ে থাকে চোদ্দপ্রদীপ এবং তাঁর সঙ্গে এই দিন বাঙালীরা চোদ্দশাকও খেয়ে থাকে। এই চোদ্দশাকের মধ্যে পড়ছে সর্ষে, পলতা, শুষণী, ওল, কেঁউ, বেতো, কালকাসুন্দা, জয়ন্তী, নিম, হেলঞ্চা, হিঞ্চে, গুলঞ্চ, ভাটপাতা, শুলফা শাক।
শাক ধোয়া জল কি করবেন?
চোদ্দশাক রান্নার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হয়। এই শাক ধোয়া জল ঘরের চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে। যার ফলে বাড়ি থেকে সমস্ত অশুভ আত্মা, অপদেবতা বিতাড়িত হয়। পাশাপাশি এর ফলে ঘরের বাধাবিঘ্নের অবসান ঘটে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ঘরে সুখ শান্তি সমৃদ্ধির বৃদ্ধি ঘটে।
জ্বালানো হয় চোদ্দপ্রদীপ
প্রধানত পূর্ব চোদ্দ পুরুষের শান্তি কামনায় ভূতচতুর্দশী পালিত হয়ে থাকে। উঠোন সহ বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন স্থানে ১৪ টি প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে এইদিন। সমস্ত অন্ধকারের অবসান ঘটিয়ে এইদিন সন্ধ্যায় চোদ্দপ্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। ফলে গৃহস্থের বাড়ি হয় আলোকময় এবং কোন ভূতের উপদ্রব থাকে না।