মা কালীর কৃপা চান? কালীপুজোর রাতে মেনে চলুন এই ৬টি নিয়ম

Published on:

Published on:

Follow these 6 rules on the night of Kali Puja 2025 to receive the grace of Goddess Kali

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে মা কালীর কাছে সব ভক্তই সমান। ভক্তিভরে মাকে যিনি ডাকেন, তাঁকেই মা আশীর্বাদে ভরিয়ে দেন। খালি হাতে কাউকে ফেরান না দেবী। বিশ্বাস করা হয়, যে খোলা মনে, নিঃস্বার্থভাবে প্রার্থনা করেন, তাঁকেই ধরা দেন দেবী কালিকা। তাঁর কৃপায় দূর হয় রোগ, শত্রু ও আর্থিক অনটন। কালীপুজোর (Kali Puja 2025) রাতে কিছু বিশেষ উপাচার নিষ্ঠাভরে পালন করলে মা হন প্রসন্ন, বর্ষণ করেন আশীর্বাদ।

কালীপুজোর (Kali Puja 2025) দিনে কী কী করবেন?

এই বছর কালী পুজো (Kali Puja 2025) উপলক্ষে পণ্ডিতরা নিম্নলিখিত ছয়টি নিয়মের কথা বলেছেন। তাঁরা বলেছেন নিষ্ঠাভরে এই নিয়ম নীতি পালন করলে জীবনে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি আসবে। নিয়ম নীতিগুলি হল –

১। কালীপুজোর দিন সকাল থেকে সারা রাত পর্যন্ত ঘরের ঠাকুরের আসনে একটি ঘি-এর প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখবেন, প্রদীপটি যেন কোনওভাবেই নিভে না যায়। বিশ্বাস করা হয়, এটি পরিবারের উপর দেবীর কৃপা অবিচল রাখে।

২। কালীপুজোর রাতের অন্ধকারে বাড়ির ছাদে একটি কালো পাঁচ-মুখী প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত শুভ। এতে নাকি নেতিবাচক শক্তি দূরে থাকে এবং ঘরে আসে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ।

৩। যাঁরা উপবাসে থেকে পুজো করেন, তাঁরা পরের দিন ব্রাহ্মণ ভোজন করান। এটি অত্যন্ত ফলপ্রদ বলে মনে করা হয়।

৪। কালীঠাকুরের মন্দিরে আতপ চাল, একটি গোটা নারকেল, ১০৮টি জবা ফুলের মালা ও কিছুটা ঘি দান করলে মা হন সন্তুষ্ট। এই দান কর্মের মধ্য দিয়েই নাকি দূর হয় দুঃখ-কষ্ট।

৫। পুজোর দিন সন্ধ্যার পর বটগাছের গোঁড়ায় তিনবার কালো তিল রাখলে পূর্ণ হয় মনের আশা। এটি এক অতি প্রাচীন শাস্ত্রীয় বিশ্বাস।

৬। কালীপুজোর রাতে কোনও মন্দিরে গিয়ে একটি খাড়া দান করুন। এই সহজ কর্মের মাধ্যমেই মা কালীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে ধারণা।

Follow these 6 rules on the night of Kali Puja 2025 to receive the grace of Goddess Kali

আরও পড়ুনঃ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই বড় ঘোষণা অশোক দিন্দার! জানিয়ে দিলেন ময়নার প্রার্থীর নাম

পণ্ডিতদের মতে, এই উপাচারগুলি শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার নয়, এগুলির মাধ্যমে নিজের মন, চিন্তা ও শক্তিকে একাগ্র করা যায়। কালীপুজোর (Kali Puja 2025) রাতে নিষ্ঠাভরে নিয়মগুলি পালন করলে দেবী কালিকার কৃপা বর্ষিত হয় পরিবার ও জীবনের উপর।