বাংলাহান্ট ডেস্ক : নজিরবিহীন কাণ্ড কোচবিহারের (Cooch Behar) মেখলিগঞ্জে। মহকুমার খাদ্য নিয়ামকের অফিসে (Office of the Food Comptroller) সারা রাত জেগে কাজ করলেন রাজ্যের খাদ্যদফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু কী কাজ? চুরি নাকি নথি লোপাট? আধিকারিকদের গতিবিধি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
এমনকি এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা দফতরের (Food and Supply Department) সামনে বিক্ষোভও দেখান। এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীরা দাবি করেন তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে এই বিষয় নিয়ে শাসকদলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।
শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় মানুষজন দেখেন খোলা রয়েছে মেখলিগঞ্জের খাদ্য নিয়ামকের অফিস। সবাই ভাবেন রাতে অফিসে বোধহয় চোর ঢুকেছে। তাই চোর ধরতে তাড়াতাড়ি অফিসের সামনে জড়ো হন এলাকাবাসী। এরপর বাইরে গোলমাল শুনে অফিস থেকে যাঁরা বেরিয়ে আসেন তাঁরা চোর নন, বরং খাদ্যদপ্তরেরই আধিকারিকেরা। গোটা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ জাগে সাধারণ মানুষের মনে। দফতরের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উপস্থিত সাধারণ মানুষ। পরে অফিসের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। তারপর অফিস থেকে বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা কিছুই বলতে চাননি।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় লেগে গেছে রাজনীতির রংও। বিরোধীদের দাবি, বাম আমলে খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পরেশ অধিকারী অন্যায়ভাবে অনেকের রেশন কার্ড তৈরি করে দেন। সেই অনিয়মের যাবতীয় তথ্য প্রমাণ লোপাটেরই হয়ত চেষ্টা করছিলেন দফতরের আধিকারিকরা।