বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির বহর দেখে রীতিমত আশাহত হয়ে পড়েছিল চাকরিপ্রার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে আশার আলো জাগিয়েছিল খাদ্য দফতরে সাব ইন্সপেক্টর বা SI-র (Food SI Exam) চাকরির পরীক্ষা। সিট সংখ্যা কম হলেও কিছুটা বুকে বল পেয়েছিল এই রাজ্যের চাকরি সন্ধানি শিক্ষিত বেকার যুবসমাজ। তবে তাতেও লাগল দুর্নীতির রঙ।
১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ফুড SI এর পরীক্ষা। রাজ্যজুড়ে ছিল পরীক্ষার তোড়জোড়। PSC-র তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৬ এবং ১৭ এই দুদিন ধরে চলবে পরীক্ষা। মোট তিনটি শিফটে পরীক্ষার সময় ধার্য্য করে PSC। সেই মত আজ শনিবার শুরুও হয়ে যায় খাদ্য দফতরের ফুড SI এর পরীক্ষা। তবে পরীক্ষা শুরু হতে না হতেই জানা গেল, ফাঁস হয়ে গেছে প্রশ্নপত্র।
পরিক্ষা হল থেকে বেরিয়েই পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করলেন, তাদের চোখের সামনেই দেদার চলল নকল। পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে ঢুকতেও বিশেষ বেগ পেতে হয়নি বলেও জানিয়েছেন কিছুজন। মিডিয়া সূত্রে খবর, রাজ্যের একাধিক পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। জলপাইগুড়ির কদমতলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে যাদের সিট পড়েছিল সেইসব পরীক্ষার্থীরা তো সোজাসুজি মিডিয়ার সামনে এসে অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ৭ দফাতেই, কবে কোন কেন্দ্রে? জানুন বিস্তারিত
শনিবার প্রথম দফার পরীক্ষা শেষে জনা কয়েক পরীক্ষার্থী বাইরে এসে মিডিয়ার সামনে বলেন, তার রুমের অন্য পরীক্ষার্থী নিজের মোবাইল নিয়েই পরীক্ষার হলে ঢুকেছিল। সে শুরুর থেকেই কাউকে প্রশ্ন পাঠিয়ে যাচ্ছিল এবং তার উত্তরও পেয়ে যাচ্ছিল। এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে খাদ্য দফতর। অন্যদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরীক্ষার্থীদের একাংশ।
উল্লেখ্য, চলতি বছর খাদ্য দফতরের ফুড এসআই এর পরীক্ষার জন্য প্রায় ১৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। যেখানে সিট সংখ্যা ছিল ৪৮০। তবুও আশার আলো দেখেছিলেন অনেকেই। তবে এই ঘটনার পর ফের একবার মুষড়ে পড়েছে রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবসমাজ। প্রশ্ন উঠছে, স্বচ্ছতা কি এই রাজ্য ত্যাগ করেছে? যোগ্যরা কি কখনোই ন্যায্য অধিকার পাবেনা?