মোমোপ্রিয় বাঙ্গালী এখন বাংলার ঘরে ঘরে।আর সন্ধ্যে হলেই ঘরে ঘরে মোমো খাওয়ার চল এখন লেগেই আছে। কিন্তু তার মাঝেই শরীরে যে বিষ ঢুকে যাচ্ছে তা বুঝতে বুঝতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। তবে ময়দা দিয়ে বানানো এই মোমো খেতে বেশ দারুন আর সাথে চাটনি আর স্যুপ। সামান্য প্রস্তুতি তৈরি করা যায় বলে শহরের রাস্তায় একের পর এক গজিয়ে উঠেছে মোমোর দোকান।
ময়দা, সবজি ও চিকেনের টুকরো আর শুকনো লঙ্কা দিয়ে চটজলদি তৈরি হয়ে যায় এই স্ন্যাক্স। কিন্তু বেশি লাভের আশায় মাত্র এই কয়েকটি উপকরণের মধ্যেইঢুকে পড়েছে মারাত্মক ক্ষতিকর বেশ কিছু পদার্থ। এর মধ্যে প্রধান হল ব্লিচ করা ময়দা। মাখা ময়দা সাদা করতে তাতে ক্লোরিন গ্যাস এবং বেনজল প্যরক্সাইড-এর মতো রাসায়নিক মেশানো হয়। আবার তা নরম রাখতে যোগ করা হয় অ্যালোক্স্যানস-এর মতো রাসায়নিক।
এই সমস্ত রাসায়নিক থেকে অগ্নাশয়ের মারাত্মক ক্ষতি হয় যার ফলে শরীরে স্বাভাবিক ইনসুলিন ক্ষরণ প্রভাবিত হয়। গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য ইঁদুরদের মধ্যে ডায়াবেটিস সৃষ্টি করতে এগুলি ব্যবহার করা হয়। রাস্তার উপরের দোকানে নিম্ন মানের অথবা বাসি উপকরণ ব্যবহার করার প্রবণতা রয়েছে। বিশেষ করে মুরগির মাংস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাঁট এবং বাসি জিনিস দেওয়ায় ই-কোলি নামক ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি দেখা যায়, যা কঠিন অসুখ সৃষ্টি করে।আর এরকম সহজ পাচ্য খাবার খেতেও ভালো লাগে সস্তায় মেলে।
কিন্তু এর সবথেকে বড় ক্ষতিকর দিক হল এইগুলি খারাপ ভাবে পথের ধারে বানানো হয় সেটাই সব থেকে খারাপ। এতে ব্যবহার করা জিনিস থেকে অর্শ ,রক্তপাত, ডায়েরিয়া, টাইফয়েড ও বিভিন্ন রকম পেটের রোগ দেখা দেয়। তাই নিজের শরীর সুস্থ রাখার জন্য আজ থেকে এই রাস্তার মোমো এড়িয়ে চলা দরকার , না হলে কে বলতে পারে আপনার শরীরে বাসা বাধতে পারে মরন রোগ।