বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি অ্যামাজনের (Amazon) তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে চলতি সপ্তাহে তারা ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করবে। অ্যামাজনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয় চারিদিকে। অ্যামাজনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চরান অনেকে। এই বিতর্কের মধ্যেই সম্প্রতি একটি নতুন খবর সামনে আসছে। আর এই নতুন খবরের কেন্দ্রবিন্দুতে যে স্বয়ং অ্যামাজন কর্তা রয়েছেন একথা বলাই বাহুল্য।
জানা যাচ্ছে জীবিত থাকা অবস্থাতেই অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস (Jeff Bezos) বিভিন্ন খাতে কোটি কোটি ডলার দান করবেন। ওয়াকিবহল মহল মনে করছে অ্যামাজনের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে যে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছিল তা খানিকটা হয়ত দূর হবে এই সিদ্ধান্তে। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস তার সম্পত্তির ১২৪.১ বিলিয়ন ডলার এর অধিকাংশ অংশ নাকি ব্যয় করতে চলেছেন সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষত জলবায়ুগত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
বেজস একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তার অনুদানের সব থেকে বড় অংশ যাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের খাতে। এছাড়াও তার মন্তব্য, সমাজের সেবা করা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। যাতে সঠিক খাতে টাকা অনুদান করা যায় সেই জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে তার সংস্থা। বেজস অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা হলেও পরবর্তীকালে তিনি সরে দাঁড়ান সিইও পদ থেকে। বর্তমানে সংস্থার ১০% এর অধিক শেয়ার রয়েছে তার কাছে।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে বেজস পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তৈরি করেন ‘বেজস আর্থ ফান্ড’। এই ফান্ডের টাকা প্রধানত পৌঁছায় বিজ্ঞানী, পরিবেশ কর্মী, সমাজকর্মী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে যারা পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন। তবে সূত্রের খবর অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা এখনো পর্যন্ত ‘গিভিং প্লেজ’-এ স্বাক্ষর করেননি। উল্লেখ্য, এই চুক্তিতে বিশ্বের সেই সব ধন কুবেররা সই করেছেন যারা তাদের সম্পত্তির অর্ধেক অংশ পরিবেশ রক্ষায় দান করতে চান।