বাংলা হান্ট ডেস্ক : অন্যায়ের সঙ্গে কখনওই আপস করেন না তিনি, অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেন না বরং তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোটাই তাঁর অভ্যাস। এমনকি সরকারি কোনও আমলার অন্যায় কাজকে সমর্থন করেননি কোনও দিন। তাই তো সততার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন 28 বছরের কর্মজীবনে 53 বার বদলির বিজ্ঞপ্তি। হ্যাঁ তিনি হলেন অশোক খেমকা।
হরিয়ানার এই আইএএস অফিসার সর্বদাই বিরোধী শিবিরের প্রিয় পাত্র হিসেবে ছিলেন,কংগ্রেসের আমলে বিজেপির প্রিয়পাত্র হিসেবে কখনোই তিনি সরকারের কোনও ভুল কাজকে সমর্থন করেন নাই। তার থেকে দুর্নীতিকে সকলের সামনে নিয়ে আসার এক অন্যতম কারিগর হয়ে উঠেছিলেন।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার স্বামী রবার্ট বঢরার ছবি চুক্তি বাতিল করার পিছনে ছিলেন এই হরিয়ানার আইএএস অশোক খেমকা, যখনই তিনি বুঝেছিলেন এই চু্ক্তি কোনও নিয়ম মেনে হয়নি তখনই সেই চুক্তি বাতিল করেছিলেন। যদিও এই চুক্তি নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দারুণ প্রভাব ফেলেছে।
फिर तबादला। लौट कर फिर वहीं।
कल संविधान दिवस मनाया गया। आज सर्वोच्च न्यायालय के आदेश एवं नियमों को एक बार और तोड़ा गया। कुछ प्रसन्न होंगे।
अंतिम ठिकाने जो लगा। ईमानदारी का ईनाम जलालत।— Ashok Khemka (@AshokKhemka_IAS) November 27, 2019
জানা গিয়েছে সেই সময় ভুয়ো নথি ব্যবহার করে রবার্ট বঢরা ডিএলএফ সংস্থাকে সাড়ে তিন একর জমি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ভুয়ো নথি ব্যবহার করেছিলেন আর্থিক সেই সময়ই দুর্নীতির কথা জানতে পেরেছিলেন অশোক খেমকা, আর তাই তিনি এর প্রতিবাদ করেছিলেন, তবে সরকার পক্ষের সদস্যের এই দুর্নীতি বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কিন্তু তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি, বদলে পেতে হয় কঠোর শাস্তি
তাই তত্কালীন কংগ্রেস সরকারের নেতৃত্বে তাঁকে বদল করে দেওয়া হয়। মাত্র তিন দিনের মধ্যেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়।যদিও সে সময় বিজেপির প্রিয়পাত্র থাকায় বিজেপি তাঁকে সমর্থন করেছিল কিন্তু, 2014 সালের নির্বাচনে যখন বিজেপি সরকার গঠন হল ঠিক তখনই তিনি আবার বিজেপির চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন।
এরপর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কয়েকবার বদলি হতে হয় কখনও হরিয়ানার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি দফতরের প্রধান সচিব, কখনও আবার সংরক্ষণাগার পুরাতত্ত্ব ও জাদুঘর বিভাগ এসব বদলি হয়ে হয়ে তাঁর যত নিজের কর্মজীবনের প্রতি যেন বিরক্ত হয়ে উঠেছেন অশোক খেমকা তাই তো তিনি সম্প্রতি টুইট করে সততার অনুদান হিসেবে অপমান পেয়েছেন এমনটাই লিখেছেন।