পাঁচ বছর পর কত হবে ১০ হাজার টাকার মূল্য? হিসেব দেখলে চোখ কপালে উঠবে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) জ্বালায় জর্জরিত মানুষ। সঞ্চয় বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ যেনো কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময় যত এগোয় ততই হ্রাস পায় মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা। মুদ্রাস্ফীতির হারের চেয়ে বিনিয়োগের সুদ কম হলে ম্যাচিউরিটির সময় হয় লোকসান। মুদ্রার মূল্য হ্রাস পেলে পণ্য এবং পরিষেবার মূল্য বৃদ্ধি পায়, এটাই হলো মুদ্রাস্ফীতি।

মুদ্রাস্ফীতি তিন প্রকার:- ডিম্যান্ড পুল ইনফ্লেশন, কস্ট পুল ইনফ্লেশন এবং বিল্ট ইন ইনফ্লেশন। সবচেয়ে ব্যবহৃত মুদ্রাস্ফীতি সূচক দুটি হলো কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স এবং পাইকারি মূল্য সূচক। আজ থেকে পাঁচ বছর পূর্বে যে দ্রব্যের ক্রয়মূল্য ১০০ টাকা ছিল, এখন তার জন্য আরও বেশি টাকা খসাতে হয়। পাঁচ বছর পর সেই একই জিনিস কিনতে যে আরোও বেশি টাকা খরচ করতে হবে, তা বলাই বাহুল্য। নেপথ্যে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি।

আরোও পড়ুন : জলে দূষণ! পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় থেকে বিরত থাকার নির্দেশ শিলিগুড়ি পুরনিগমের

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশ হলে, ৬ শতাংশের কম সুদের হারে কোথাও বিনিয়ক করেন বিনিয়োগকারী। তাহলে লোকসান হয়। রিটার্নের সময় তিনি যে টাকা পাবেন, তা পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতির হারের চেয়ে খুবই কম হবে। সুতরাং লস হলো। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের এপ্রিলে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৮৩ শতাংশ। গ্রামে ৫.৪৩ শতাংশ এবং শহরে ৪.১১ শতাংশ।

636277035242086786 Inflation

একবার ভেবে দেখুন তো, আগামী পাঁচ বছরে ১০ হাজার টাকার মূল্য ঠিক কত হবে? মুদ্রাস্ফীতি ক্যালকুলেটর বলছে, পাঁচ বছর পর ১০ হাজার টাকার মূল্যের কোনো জিনিস ১২ হাজার ৬৬০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হবে। মুদ্রাফীতির কবলে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। যদিও অর্থনীতিবিদদের মতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন সর্বোত্তম মুদ্রাস্ফীতি।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর