জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল, বাধ্য হয়ে ভ্রাম্যমাণ পুজো করতে হল বাবুল সুপ্রিয়দের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভের রেশ এবার জগদ্ধাত্রী পুজোতে। বালিগঞ্জে একই নামে দুটি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। দুই পুজো কমিটিই দাবি করেছে যে তারা প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অনুগামী। এই দুই পুজো কমিটির সদস্যদের একপক্ষ বাবুল সুপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ, অন্যরা সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ। ফার্ন রোডে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতীকী হিসাবে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতেই পুজোর সারলেন বাবুল সুপ্রিয় ঘনিষ্ঠরা। শুধু তাই নয়, ভ্রাম্যমাণ ম্যাটাডোরে নিয়ম করে পুজো করার পাশাপাশি চলছে ঢাকের বাজনাও।

চন্দননগর, কৃষ্ণনগর যুগ যুগ ধরে জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো সত্যিই বাংলার ইতিহাসে বিরল। তৃণমূলের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় ও বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র অনুগামীদের বিরোধের জেরে এবার সেই চিত্রই দেখল বাংলা। পুলিশের অনুমতি, ফায়ার লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও বাবুল সুপ্রিয়র ঘনিষ্ঠরা জগদ্ধাত্রী পুজো করতে পারলেন না বালিগঞ্জের ফার্ন রোডে।

এই বিষয়ে বাবুল সুপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বালিগঞ্জের এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, “যে জায়গায় পুজো হওয়ার কথা ছিল সেই জায়গা আমরা পাইনি।” এই নেতার দাবি গত তিন বছর ধরে ওই জায়গাতেই জগদ্ধাত্রী পুজো হওয়া সত্বেও এই বছর কারোর কারোর জন্য সেই জায়গায় পুজো করা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ দু’পক্ষই।

png 20221102 182058 0000

বাবুল ঘনিষ্ঠ পুজো উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তাদের ভ্রাম্যমাণ প্রতিমা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাবে। ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর এই জগদ্ধাত্রী পুজো ফের একবার রাজ্যের শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলকে সামনে আনল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর