বাংলাহান্ট ডেস্ক : ১০০ দিনের কাজের টাকা বাকি থাকা বিতর্কে এবার নিজের বক্তব্য পেশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, আদালত কোনোভাবেই অবৈধ কাজ সমর্থন করে না। কিন্তু কিছু লোক রয়েছেন যারা বৈধভাবে ১০০ দিনের কাজ করেছেন। তাদের শ্রমে তৈরি হয়েছে রাস্তা। তাহলে কেন তারা বঞ্চিত হবেন?
১০০ দিনের কাজের টাকা বাকি থাকা প্রসঙ্গে এবার কলকাতা হাইকোর্ট সরাসরি তোপ দাগল কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই। আদালতের বক্তব্য, এটা ঠিক আছে যে যাদের কাছে ভুয়ো জব কার্ড রয়েছে তারা টাকা পাবেন না। কিন্তু আসল নকল তো খুঁজে বার করতে হবে। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “অনেক পচা আপেল আছে এখানে। তাই খুঁজে বার করতে হবে ভালো আপেল।”
আরোও পড়ুন : মমতার ‘কথা’তেই ধর্না মঞ্চ ছাড়লেন অভিষেক! শেষ পর্যন্ত কী এমন বললেন রাজ্যপাল ?
১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রকে বলেন, “রাজ্য সরকার একটি কমপ্লায়ান্স রিপোর্ট গত ফেব্রুয়ারি মাসে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছে। খতিয়ে দেখুন সেটা। তারপর ব্যবস্থা করুন টাকা পাঠানোর। ১০ ভাগের ১ ভাগ লোকও যদি বৈধভাবে কাজ করে থাকেন, কেন তাহলে তারা টাকা পাবেন না? আপনারা চান এই ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত করুক।”
আরোও পড়ুন : পায়ের উপর পা তুলে নাকি গোড়ালি ক্রস করে! বসার ধরনেই বোঝা যাবে আপনার ব্যক্তিত্ব
পাশাপাশি তিনি আরোও জানান, “তাহলে সিবিআই তদন্ত হোক। কিন্তু কেন আটকে থাকবে নিরীহ মানুষের টাকা?” প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য, “এই প্রকল্পে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য বরাদ্দ টাকা শেষ হয়ে গেছে। হিসাব দেয়নি রাজ্য। করা হয়েছে ভুয়ো জব কার্ড। টাকা পাঠানো হয়নি স্বচ্ছতার অভাবে। পুনর্বিবেচনা করতে হবে সেই বাজেট।”
কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশ্যে বলেন, “রাজ্য ও জেলা প্রশাসন যদি সাহায্য না করে তাহলে শেষ হবে না তদন্ত। যতদিন পর্যন্ত না কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কমপ্লায়ান্স রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ততদিন আপনারা শ্রমিকদের স্বার্থ দেখুন, টাকা দিন তাদের। রাজ্য সরকারের দায়িত্ব কাজের নিশ্চয়তা দেওয়া। রাজ্য সেখান থেকে অব্যাহতি চাইতে পারেনা।”