প্লাস্টিক বন্য প্রানীদের মৃত্যু কারন হয়ছে,বাঘের মুখে প্লাস্টিক

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিনের পর দিন দূষণ বাড়ছে, আর এই দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তনশীল পরিবেশে মানিয়ে নিতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে অন্য জীবন। যদিও সৌজন্যে মানুষের ব্যবহৃত প্লাস্টিক। বার বার প্লাস্টিকের বোতল প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও রমরমিয়ে সে সব জিনিসের ব্যবহার বাড়ছে আর এতে বিপদে পড়ছে বন্য প্রাণীরা।b86758b31f020260c514cbf5241ff6ca

তবে প্লাস্টিক যে কীভাবে আমাদের পরিবেশ দূষিত করছে তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ মিলল সম্প্রতি। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের কর্মী সুশান্ত নন্দা তাঁর টুইটারে দু দুটি ছবি পোস্ট করেছেন যেখানে দুটি বাঘকে বালতি ও প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে যাচ্ছে। যদিও বাঘ দুটির বয়সের পার্থক্য রয়েছে কারণ একটি বয়সে বড় এবং একটি কম বয়সী।

কম বয়সী বাঘটি মুখে বালতি পূর্ণবয়স্ক বাঘের মুখে বোতল নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ছবিটি দেখে একেবারেই নিশ্চিত হয়তো সেই জঙ্গলে বালতি বোতল এসব কেউ ফেলে গিয়েছিল তাই বাঘ গুলি মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে তবে যেখানে রিজার্ভ ফরেস্ট গুলিতে বার বার প্লাস্টিক ফেলতে নিষেধাজ্ঞা করা হচ্ছে তা সত্ত্বেও কর্ণপাত করছে না কেউই।

ওই রিজার্ভ ফরেস্টের কর্মী সুশান্ত নন্দা জানিয়েছেন, যে ভাবে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে চল্লিশ কোটি মেট্রিক টন প্লাস্টিক দ্রব্য উত্পাদন হচ্ছে তাতে খুব কম পরিমাণে রিসাইকেল করা সম্ভব তাই এ ভাবে চলতে থাকলে একটা সময় আসবে যে গোটা সভ্যতাই প্লাস্টিকে চাপা পড়ে যাবে। যদিও শুধুমাত্র সুশান্ত দায়ী নন এই দাবি করেছেন অনেকেই।

যে ভাবে দিনের পর দিন প্লাস্টিকের ব্যবহার একদিকে বাড়ছে তার জন্য আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের সমাজে থাকা অবলা প্রাণীরা। উল্লেখ্য যদিও এই প্রথমবার নয় এর আগে এক টিভির পেট থেকে আশি কেজি প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছিল। সমুদ্রের ধার থেকে উদ্ধার এক বিশাল আকৃতির মৃত তিমির পেট কেটে পাহাড় প্রমাণ প্লাস্টিক উদ্ধার করেছিলেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

সম্পর্কিত খবর