বাংলাহান্ট ডেস্ক: তীব্র গরমে জ্বলছে গোটা বাংলা। ভেঙে গেছে গত ৫০ বছরের রেকর্ড। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই শুধু ‘অগ্নিকাণ্ড।’ ভয়াবহ এই গরমে চিকিৎসকেরা দুপুর বেলা বাড়ি থেকে বাইরে না বেড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় ব্যাপকভাবে চাহিদা বাড়ছে বিদ্যুতের। এসি, কুলার, ফ্যান, রেফ্রিজারেটর জাতীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবহার ক্রমাগত বেড়ে চলায় চাপ পড়ছে বিদ্যুৎ সংস্থার উপর।
বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সিইএসসিকে (CESC) নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ (Electricity) সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরেও বৃহস্পতিবার কলকাতার একাধিক জায়গায় দেখা দিল বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে চরম সমস্যার মুখে পড়েন শহরবাসী। গড়িয়া, সোনারপুর, সল্টলেক প্রভৃতি এলাকায় বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ ওঠে।
আরোও পড়ুন : বিয়ের কয়েক মাসেই সুখবর! পরম-পিয়ার ঘরে এল নতুন সদস্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন নিজেরাই
এছাড়াও এদিন বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার কিছু জায়গায়। কসবা, হরিদেবপুরেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ ওঠে। অনেক জায়গায় ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম সমস্যার মুখোমুখি হন ছোট শিশু থেকে বয়স্করা। বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা হয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা লাইন ট্রিপ করার ফলে।
অন্যদিকে এদিন আগুন লেগে যায় কসবার ২২০ কেবি ট্রান্সমিশন সাব স্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারে। এরপর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা দেখা দেয় গড়িয়া, সোনারপুর এবং সেক্টর ফাইভে। তবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তীব্র গরমে এইভাবে বিদ্যুতি বিভ্রাটের ফলে সমস্যায় পড়েন বহু মানুষ। যদিও সিইএসসি দাবি করেছে তাদের এলাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা নেই।