বাংলা হান্ট ডেস্ক : কয়েক দিন আগেই বিধানসভায় গিয়ে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁকে নাকি অযাচিত ভাবে কেউ ফোন করে বিরক্ত করছে এবং টাকা ফেরত দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। যদিও তিনি জানান কারও থেকে কোনও ভাবেই তিনি টাকা নেননি হয়তো তাঁর নাম করে কেউ টাকা নিচ্ছে। কিন্তু এবার বেকার যুবকদের প্রতারণা করে চার হাজার টাকার বিনিময়ে টোটো দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সেই রায়দিঘির সাংসদ দেবশ্রী রায়ের বিরুদ্ধে।
তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন চলতি বছরের জুলাই মাসে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মথুরাপুর ব্লকের বেকার যুবকদের উদ্দেশে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেবশ্রী, তাই অনেকের কাছ থেকেই চার হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন আর এ ভাবেই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি, অথচ এখনও অবধি হাতে টোটো পাননি কেউই।
অনেক বেকার যুবক চার হাজার টাকার বিনিময়ে বিধায়কের কাছে নাম নথিভুক্ত করে রশিদ কেটেছিলেন অথচ সময় পেরিয়ে গেলেও টোটো দেওয়া তো দূরের কথা তার কোনও আভাস পাননি রায়দিঘি এলাকার বেকার যুবকরা। তাই অবিলম্বে তৃণমূল বিধায়কের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
তাই বৃহস্পতিবার রায়দিঘির কাশীনগর মোড়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা এবং দেবশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারির দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান যদিও এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন তাঁদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে তাই শীঘ্রই বিষয়টি দেখা হবে।
অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক এর বিজেপি তে যোগ দাওয়ার খবর যেন নিশ্চিত ছিল। এমনকি বিজেপি তে যোগ দিতে ১৪ অগস্ট নয়াদিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সদর দফতরে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি। এমনকি রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষও জানিয়ে দেন যে, দেবশ্রী রায়কে নেওয়ার বিষয়ে দলের সকলে এখনও একমত নন।এই ঘটনার পরই বুধবার জনসমক্ষে এসে বিধানসভার বৈঠকে যোগ দেন তিনি।