বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাঁদের (Moon) প্রতি ভালোবাসা মানুষের সেই প্রাচীনকাল থেকেই। কবি-সাহিত্যিক থেকে শুরু করে সাধারণমানুষ, কতবারই তো আমরা তাকিয়ে থেকেছি চাঁদের দিকে। চাঁদের অপার রহস্যকে জানতে বারবার দুঃসাহসিক অভিযানে রওনা দিয়েছে মানুষ। পাঠানো হয়েছে কত কত চন্দ্রযান। কিন্তু এই প্রথমবার বিজ্ঞানীদের সামনে যে দৃশ্য ধরা পড়ল তা রীতিমতো অভূতপূর্ব।
কার্যত বলা যায়, এক নতুন চাঁদকে (birth of a New Moon) জন্ম নিতে দেখলেন বিজ্ঞানীরা। যদিও তা আমাদের সৌরমণ্ডলে নয়। আমাদের এই সৌরমন্ডল ছাড়াও আরও অনেকগুলি সৌরমন্ডল যে রয়েছে একথা অনেকেই হয়তো জানেন। অনেক নক্ষত্রকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে সৌরমন্ডল। তেমনি একটি সৌরমন্ডল রয়েছে আমাদের থেকে প্রায় ৩৭০ আলোকবর্ষ দূরে। এই সৌরমণ্ডলের মূল নক্ষত্রটিকে কার্যত নবীন বলা চলে। পিডিএস ৭০ নামক এই নক্ষত্রটির ভর সূর্যের মতোই। এটি এখনও দেখতে কমলা।
এই নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরে চলেছে পৃথিবী, বুধ, বৃহস্পতির মতো একাধিক গ্রহ। তাদেরই মধ্যে একটি গ্রহ রয়েছে যা বৃহস্পতির মত। এবার সেই গ্রহেরই একটি উপগ্রহ তৈরি হতে দেখতে পেলেন বিজ্ঞানীরা। কার্যত একে বলা যায় নতুন চাঁদের সৃষ্টি। চিলি আটাকামা মরুভূমির ALMA অবজারভেটরি থেকে এই দৃশ্য দেখতে পেয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। তারা জানিয়েছেন নবীন নক্ষত্র পিডিএস ৭০ কে কেন্দ্র করে ঘুরে চলা গ্রহগুলির একটিতে একটি উপগ্রহ গঠিত হতে দেখা গিয়েছে।
চারদিকে রয়েছে গ্যাসের বলয়। বিজ্ঞানীদের তরফে জানানো হয়েছে, যে গ্যাসীয় বলয়টি দেখা গিয়েছে তাকে বলে সার্কামপ্ল্যানেটরী ডিস্ক (circumplanetary disc )। এর থেকেই নতুন চাঁদের জন্ম হয়। তাদের মতে এটি একটি অনন্য পর্যবেক্ষণ। তাদের মতে এর থেকে আরও ভালোভাবে জানা গিয়েছে কি করে একটি গ্রহ এবং উপগ্রহ আসলে জন্মায়।
গ্রানোবল ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী মরিয়াম বেনিস্টি বলেন, “এই পর্যবেক্ষণগুলি অনন্য। একটি গ্রহ কিভাবে জন্মলাভ করে সেই তথ্য পরীক্ষা করার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হল আমাদের। এই প্রথমবার সেই থিওরি পরীক্ষা করার সুযোগ এলো, জানা গেল গ্রহের উপগ্রহ কিভাবে তৈরি হয়।”