বাংলা হান্ট ডেস্ক: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! এবার প্রথমবারের মত দেশে গঙ্গার নীচ দিয়ে সফলভাবে ছুটে চলল মেট্রো। আর তার সাথেই ইতিহাস তৈরি করল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ (Kolkata Metro Rail Corporation)। এই প্রসঙ্গে কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে যে, বুধবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দু’টি রেক ছুটেছে গঙ্গার নীচ দিয়ে।
পাশাপাশি, আরও জানা গিয়েছে যে, সকাল ১১ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ মেট্রোর এমআর-৬১২ রেকটি প্রথমে গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটেছে। তারপরে মেট্রোর এমআর-৬১৩ রেকটিও গঙ্গার তলা দিয়ে পৌঁছে যায় ময়দান স্টেশনে। মাত্র আধঘণ্টায় মহাকরণ থেকে হাওড়া ময়দান পৌঁছে যায় ওই দু’টি রেক। যদিও, মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এটি কিন্তু ট্রায়াল রান নয়। বরং, খুব দ্রুত ট্রায়াল রান শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, গঙ্গার তলা দিয়ে মোট ৫২০ মিটার অতিক্রম করবে মেট্রো। যে পথটি যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ সেকেন্ড। পাশাপাশি, যে সুড়ঙ্গ দিয়ে মেট্রো চলাচল করবে, সেটি গঙ্গার জলস্তরের ৩২ মিটার নীচে অবস্থিত রয়েছে। এমতাবস্থায়, চলতি বছরের মধ্যেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দানের মধ্যে বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, বুধবার প্রথম যে মেট্রো রেকটি গঙ্গার তলা দিয়ে চলাচল করেছে, সেটিতে উপস্থিত ছিলেন মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি, অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার এইচ এন জয়সওয়াল এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের একাধিক কর্তা-সহ মেট্রো রেলের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
ইতিহাস তৈরি করল কলকাতা মেট্রো। গোটা ভারতে এই প্রথম কোনও মেট্রো রেল গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটল। #KolkataMetro pic.twitter.com/fAJxfYCvKD
— Bangla Hunt (@BanglaHunt) April 12, 2023
রেকটি আজ হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর পর সেখানে পুজো দেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার। এমতাবস্থায়, গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রোর এই ঐতিহাসিক সফরের প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ” নিঃসন্দেহে মেট্রো রেলের জন্য এটা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বহু বাধা অতিক্রম করে শেষপর্যন্ত আমরা হুগলি নদীর তলা দিয়ে মেট্রো চালাতে সক্ষম হয়েছি। কলকাতা ও শহরতলির মানুষকে অত্যাধুনিক পরিবহণের সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।”