জমিতে রসুন পাহারা দিচ্ছে বন্দুকধারী গার্ড, বসানো হল সিসিটিভি ক্যামেরাও, দামের গেরোয় সতর্ক চাষিরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বড় বড় শপিং মল থেকে শুরু করে বড় কোনো সোনার দোকান এইসব জায়গায় নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রেখে বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষীদের (Security Guard) উপস্থিতি আমরা তো প্রত্যেকেই পরিলক্ষিত করেছি। কিন্তু, কোনো কৃষিক্ষেত্রে কি আপনি এই দৃশ্য দেখেছেন? হ্যাঁ, প্রথমে এটি পড়ে কিছুটা অবাক হলেও এবার ঠিক এইরকমই এক ঘটনা সামনে এসেছে। যেটি উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই রসুনের দাম ক্রমশ আকাশ ছুঁয়েছে। এমতাবস্থায়, মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কৃষকদের তাঁদের ক্ষেতে পাহারা দেওয়ার জন্য বন্দুকধারী গার্ড এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে রসুনের দাম। এমনকি, অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে, একাধিক রাজ্যে রসুনের দাম খুচরো বাজারে প্রতি কেজিতে ৪০০ টাকা ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি, পাইকারি বাজারে এই দাম প্রতি কুইন্টালে ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

For this reason garlic is guarded by armed guards on the ground

এমতাবস্থায়, জেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে উজ্জয়িনীর চিন্তামন রোডের মাংরোলা গ্রামে, নিরাপত্তারক্ষী এবং বন্দুক নিয়ে কৃষকদের ফসলে ভরা ক্ষেতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। পাশাপাশি, বহু কৃষক সিসিটিভি স্থাপন করে মনিটরে তাদের ক্ষেত পর্যবেক্ষণ করছেন। এই প্রসঙ্গে কৃষক ভারত সিং বাইস জানান, চোরেরা অনেক কৃষকের ফসল নিয়ে গেছে। তাই এখন তিনি তাঁর ১২ বিঘা জমি পাহারা দিচ্ছেন। সেখানে তিনি রসুন চাষ করেছেন।

আরও পড়ুন: বড়সড় গাফিলতি রেলের, এবার চালক ছাড়াই মালগাড়ি চলল ৭০ কিমি! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর ভিডিও

বাইস আরও বলেন, “গত ২ বছর রসুন চাষে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়লেও এই বছর ভাগ্য আমাদের সঙ্গে আছে। প্রতি কেজি ফসলে কৃষকরা পাচ্ছেন ২০০ টাকা। আমাদের রসুনের ফসল আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পাকবে। তাই আমরা এইভাবে আমাদের ক্ষেত পাহারা দিচ্ছি।”

আরও পড়ুন: বড় উপহার রেলের! বাংলায় তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ রেল স্টেশন, সহজেই পৌঁছে যান দার্জিলিং-গ্যাংটক

এদিকে, ভোপালের সবজি ব্যবসায়ী তথা একেএস কোম্পানির মালিক মোহাম্মদ সেলিম জানান, তিনি কখনও রসুনের দাম এই পর্যায়ে পৌঁছতে দেখেননি। তাঁর মতে, “ভালো মানের রসুনের দাম পাইকারি বাজারে থাকে প্রতি কেজি ২০০ টাকা।” সেলিম বলেন, “মধ্যপ্রদেশ জুড়ে প্রতিদিনই পাইকারি দাম ওঠানামা করছে।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর