রাত্রিবেলায় এই ৬ টি রেল স্টেশনে পা রাখেন না কোনও যাত্রী! পেছনে রয়েছে শিউরে ওঠার মত কাহিনী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে এমন কিছু স্থান রয়েছে যেগুলি বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভয় সঞ্চার করে সকলের মনে। এমনকি, সেগুলি সম্পর্কে এমন কিছু কথা লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে যা খুব সহজেই আতঙ্কের উদ্রেক করে। পাশাপাশি, রাত্রিবেলাতে সেই স্থানগুলিকে এড়িয়ে চলেন সকলেই। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা দেশের এমন ৬ টি রেলস্টেশনের প্রসঙ্গ আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করব যেগুলি ইতিমধ্যেই যাত্রীদের কাছে এক ভয়ের আবহ তৈরি করেছে।

১. হিমাচল প্রদেশের বারোগ রেলস্টেশন: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, হিমাচল প্রদেশের বারোগ রেলস্টেশনের কাছে থাকা ৩৩ নম্বর টানেলে যাত্রীরা রাত্রিবেলায় যেতে ভয় পান। এমনকি, ওই জায়গায় একাধিক অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড প্রত্যক্ষ করা গেছে বলেও দাবি করেন যাত্রীরা।

২. কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন: এই তালিকায় মেট্রো স্টেশনও সামিল রয়েছে। মূলত, আমাদের রাজ্যে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গেই একটি মেট্রো স্টেশনকে রাতের বেলায় এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন যাত্রীরা। মেট্রো স্টেশনটির নাম হল রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন। মূলত, এই স্টেশনে প্রচুর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এমতাবস্থায়, মেট্রো স্টেশনটিতে রাত হলেই অশরীরীরা ঘুরে বেড়ায় বলে দাবি করেন যাত্রীরা।

৩. উত্তরপ্রদেশের নৈনি রেলস্টেশন: এই রেলস্টেশনের কাছে থাকা নৈনি জেলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নির্যাতন করা হত। এদিকে, স্টেশনটিতে একাধিক অস্বাভাবিক ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যার কারণে রাতের বেলায় এই রেলস্টেশনে যেতে ভয় পান যাত্রীরা।

৪. দিল্লির দ্বারকা সেক্টর ৯ মেট্রো স্টেশন: দিল্লির এই মেট্রো স্টেশনেও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যায়। যে কারণে ভয়ে সন্ধ্যের পর থেকেই অনেকে এড়িয়ে চলেন দিল্লির দ্বারকা সেক্টর ৯ মেট্রো স্টেশনটিকে।

৫. দিল্লির এম জি রোড মেট্রো স্টেশন: এই তালিকায় দিল্লির আরও একটি মেট্রো স্টেশন রয়েছে। যেটির নাম হল এম জি রোড মেট্রো স্টেশন। মনে করা হয় যে, এই মেট্রো স্টেশনেও অশরীরীদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। তাই, রাত্রিবেলায় যাত্রীরা এড়িয়ে চলেন এই স্টেশন।

maxresdefault 8

৬. অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর রেলস্টেশন: কথিত আছে, অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর রেলস্টেশনে হরি সিং নামে এক সিআরপিএফ, আরপিএফ এবং টিটিইদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তারপর থেকেই নাকি ওই স্টেশনটিতে বিভিন্ন অস্বাভাবিক কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর