একঘেয়ে দার্জিলিং ছেড়ে পা রাখুন এই হিল স্টেশনে! একইসাথে দেখা মিলবে চা বাগান আর কাঞ্চনজঙ্ঘার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। একদিকে রোদের তীব্রতা, অন্যদিকে আর্দ্রতাজনীত অস্বস্তি। সব মিলিয়ে এই গরমে নাভিশ্বাস উঠছে সবার। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই পাহাড়ে ঘুরতে যান। পাহাড় বলতেই আবার আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং এর ছবি।

কিন্তু বিখ্যাত এই শৈল শহরগুলিতে এই মুহূর্তে তিল ধারণের জায়গা নেই। তাহলে উপায়? আপনারা যদি গরম থেকে স্বস্তি পেতে নিরিবিলিতে কিছুদিন সময় কাটাতে চান তাহলে আমরা আজ সন্ধান দেবো একটি অফ বিট পাহাড়ি গ্রামের। অহলদারা (Ahaldara) গ্রামটির নামের সাথে অনেকেই অপরিচিত। দার্জিলিং থেকে আড়াই ঘন্টার দূরত্বে আপনারা এই গ্রামে কিছুদিন একান্তে সময় কাটিয়ে আসতে পারেন।

namthing pokhri lake from latpanchar 1

এই গ্রামটিকে ঠিক অফবিট বলা যায় না। কারণ কমলামেলবুর মৌসুমে যথেষ্ট পর্যটকদের ভিড় হয় এখানে। এই গ্রামের খুব কাছেই রয়েছে সিটং। গরমকালে অহলদারা গেলে আপনারা দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব ভিউ। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরমিক ভিউ পাওয়া যায়। অহলদারা খুবই শান্ত ও মনোরম একটি গ্রাম।

এখানকার ভিউ পয়েন্ট খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পর্যটকদের কাছে। ভোরবেলা ভিউ পয়েন্টে গিয়ে আপনারা দেখতে পারবেন সূর্যোদয়ের অপূর্ব দৃশ্য। সারাদিন এই গ্রামে হাতে কফি নিয়ে বসে থাকলে দেখতে পারবেন কীভাবে তুলোর মতো মেঘ এসে ঢেকে দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। চারদিকের প্রাকৃতিক শোভা আপনার মনকে নিয়ে যাবে এক অন্য অনুভূতির দেশে।

WhatsApp Image 2020 02 11 at 1.09.44 PM

এই গ্রামের আকাশে বাতাসে খেলা করে হিমেল হাওয়া। এছাড়াও রয়েছে সিঙ্কোনা গাছ। আর এই গ্রামে রয়েছে বিশাল চা বাগান। অহলদারা যাওয়ার গাড়ি আপনারা পেয়ে যাবেন শিলিগুড়ি ও নিউ জলপাইগুড়ি থেকে। এই গ্রামে থাকার জন্য রয়েছে একাধিক হোমস্টে। জনপ্রতি পনেরশো টাকার মধ্যে থাকা-খাওয়া সহ এই হোমস্টেগুলিতে আপনারা রাত্রিযাপন করতে পারবেন।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর