বাংলা হান্ট ডেস্ক : পায়ের তলায় সর্ষে বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার জায়গা হল দীপুদা। যারমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের কাছে দীঘা (Digha) হল বাঙালির এক্কেবারে হাতের নাগালের পর্যটন কেন্দ্র। সামনে হওয়ার দরুণ খরচটাও কম হয় এখানে। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে বর্ষার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এই দীঘার চেয়ে ভালো বিকল্প আর কী হতে পারে! তবে এখন অনেকেই আবার অফবিট দীঘার (Offbeat Digha) খোঁজ বেশি করছেন।
এই কারণেই বেশ কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মন্দারমনি এবং তাজপুরের (Tajpur Beach) মতো জায়গাগুলো। নিউ দীঘা বা ওল্ড দীঘার তুলনায় এইসব জায়গাগুলিতেই এখন পর্যটকদের আনাগোনা বেশি। আসলে দীঘার তুলনায় তাজপুর বা মন্দারমনির বিচ অনেকটাই নির্জন। বিশেষ করে তাজপুরের লাইট হাউস এখন পর্যটকদের নজর কেড়েছে।
স্থানীয়রা তো বটেই পাশাপাশি তাজপুরে এখন ভিড় জমাচ্ছে আসেপাশের জেলার মানুষও। দু-তিন দিনের শর্ট ট্রিপের জন্য একেবারে আদর্শ এই জায়গা। কারণ অনেকেরই মনে হয় যে, দীঘায় সমুদ্র দর্শন এবং বিশ্ববাংলা পার্ক ছাড়া দেখার সেরকম বিশেষ কিছু নেই। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে লাইটহাউস হলো পর্যটকদের কাছে একটি বাড়তি পাওনা।
আরও পড়ুন: ২০০০ টাকারও কমে জবরদস্ত ফোন লঞ্চ করল Nokia! এর ব্যাটারি ব্যাকআপ ও ফিচার্স চমকে দেবে
লাউটহাউসে উঠে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানো যায় এখানে। কাজ সেরে সন্ধ্যার হাওয়া খাওয়াও জন্য স্থানীয়রাও আজকাল ভিড় জমায় তাজপুরের এই লাইটহাউসে। তাদের মতে, পর্যটন শিল্পে গতি আনতে এই লাইট হাউসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যারা দীঘা বা তাজপুরে যাচ্ছেন তারা একবার হলেও লাইট হাউস দর্শন করতে আসছেন।
আর আসবে নাই বা কেন, লাইট হাউসের ওপর থেকে তাজপুর বিচ এবং আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে সত্যিই মুগ্ধ হতে হয়। এতকিছুর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটি দেখার জন্য কিন্তু একেবারেই গ্যাঁটের কড়ি খসাতে হবেনা। হাতের ১০ টাকাতেই দেখতে পাবেন লাইট হাউস। আর এখন তো এই অঞ্চলে একটি ছোট্ট পার্কও তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে এই পার্কের পেছনে।