বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, রবিবার একজোটে সামনে এল এই চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফল। তেলেঙ্গানা বাদে বাকি তিন রাজ্যেই গেরুয়া ঝড়। রাজস্থানের পাশাপাশি পালাবদল হয়েছে ছত্তিশগড়েও (Chhattisgarh)। কংগ্রেসকে ধুয়ে মুছে সাফ করে সেখানে মাথা উঁচু করে ফুটেছে পদ্ম। আর রাজ্য গেরুয়া রং এ রাঙতেই পড়শী রাজ্য থেকে ফোন এল এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাছে।
সূত্রের খবর, রবিবার শুভেন্দুকে ফোন করে ধন্যবাদ জানান ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং (Former Chief minister of Chhattisgarh Raman Singh)। আসলে ছত্তিশগড়ে বাঙালি অধ্যুসিত ১১ টি আসন রয়েছে। ২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে সেই ১১ টির মধ্যে ৮টি আসন গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। সেই খুশিতেই শুভেন্দুর কাছে এল ফোন।
তবে হঠাৎ শুভেন্দুর কাছেই ফোন কেন? আসলে এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে ছত্তিশগড়ের ওই আসনগুলির প্রচারের দায়িত্ব ছিল শুভেন্দুর কাঁধে। জান-প্রাণ লাগিয়ে পদ্ম ফোটাতে ভোটপ্রচার সেরেছিলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ক্ষেত্রেও শর্ত ভেঙেছে রাজ্য সরকার! তাই টাকা বন্ধ, মমতার চিঠির পাল্টা কেন্দ্র
জানিয়ে রাখি, শুভেন্দু বিরোধী দলনেতাই নন, পাশাপাশি বাংলার একাধিক BJP নেতাও ওই এলাকাগুলির মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। আর ম্যাজিকের মত কাজ করেছে বাংলার নেতাদের উপস্থিতি। প্রসঙ্গত, এবার যে ৮ আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছে, গতবছর তার একটিও পায়নি বিজেপি। অর্থাৎ অসাধ্য সাধন হয়েছে এমনটা বললে খুব একটা ভুল হবে না। আর বিজেপির বিপুল জয়ের খুশিতেই শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রমন সিং। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু অধিকারীও।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ভোটে ছত্তিশগড়ে বাঙালি অধ্যুষিত সেই ১১টি আসনের মধ্যে ১১টি আসনেই পরাজিত হয়েছিল বিজেপি। এ ক্ষেত্রে এবারের ফলাফলের পর বলা যেতেই পারে বিরোধী দলনেতার প্রচার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেছে বাঙালি অধ্যুষিত আসনগুলিতে।