বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পাকিস্তানের (Pakistan) সামগ্রিক অবস্থা ক্রমশ শোচনীয় হয়ে পড়েছে। এমনিতেই ওই দেশটি চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। অপরদিকে, দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতাও অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, নির্বাচনের ঘোষণার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ চলতি মাসের ২১ অক্টোবর দেশে ফিরতে চলেছেন।
যদিও, নওয়াজ শরীফ ও তাঁর ভাই তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে তুমুল ক্ষোভ রয়েছে। মূলত, বর্তমানে সেখানে যেভাবে দারিদ্রতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের জনগণ প্রাক্তন এই শাসকদের দায়ী করেছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের গাড়িতে হামলাও চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এমনকি, উত্তেজিত জনতা গাড়ির কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে দেয়।
شہباز شریف لاہور میں عوا م کے ہتھے چڑھ گئے
عوام نے شہباز شریف کو ننگی گالیاں دیں
گاڑی کے شیشے توڑ دیے pic.twitter.com/8sIHdInD3B— Waqar khan (@Waqarkhan123) October 4, 2023
লাহোরে শাহবাজের গাড়িতে হামলার ঘটনা: এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরীফের গাড়িতে হামলা চালায় একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে। যেটি একসময় তাঁর দলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হত।
আরও পড়ুন: টাটা ন্যানো না SUV ধরতে পারবেন না! কামব্যাকের জল্পনা জিইয়ে রেখে সামনে এল ছবি, কেমন হবে নয়া অবতার?
“এক্সপ্রেস নিউজ” গত বৃহস্পতিবার এই তথ্য সামনে এনেছে এবং বলেছে যে, এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে। সেই সময়ে লাহোরে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের গাড়িতে হামলা চালায় এবং জানালার কাঁচ ভেঙে দেয়। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়টিও সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে RBI-এর দুর্দান্ত উপহার! নেওয়া হল এই বড় সিদ্ধান্ত, জেনে আনন্দে লাফাবেন আপনিও
কি জানিয়েছেন শরীফ: মূলত, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাহবাজ শরীফ তাঁর নির্বাচনী এলাকার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সফর করছিলেন। কিন্তু, তখনই উত্তেজিত জনতা তাঁর গাড়ি থামিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। পুরো ঘটনাটির ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও, গত বৃহস্পতিবার শরীফ জানান যে, তিনি জনপ্রতিনিধিদের সাথে দেখা করছিলেন এবং যাঁরা গাড়ি থামিয়েছিলেন তাঁদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলেন। তাঁরা সবাই তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন শরীফ।