বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঘরে ঘরে প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবহারকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম এবং একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন নাগরিকরা। এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে জেলার মোট পরিবারের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক আবেদনকারীর কাছে কার্ড পৌঁছে যাওয়ার খবরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুরে। সংখ্যার নিরিখে, কীভাবে ১২০ শতাংশ মানুষের হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হল সেই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের তরফে।
প্রশাসনের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরীর নির্দেশ না থাকলেও বহু পরিবারের সদস্যরাই সেই নিয়মকে মানেন নি। অন্যদিকে, নির্দেশিকা অনুসারে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীরা কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন না জানার পরেও বহুজন সেই নিয়মও ভেঙেছেন। তবে, এমন দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই ওই সমস্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পরীক্ষা করে বাতিলও করে দেওয়া হচ্ছে।
জেলার স্বাস্থ্য দফতরের (স্বাস্থ্য সাথী কার্ড) দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তরুণ কুমার কানঠাল বলেন, “একই পরিবারের সদস্যরা পৃথকভাবে কার্ড পেয়েছেন এরকম লোকেদের জেলার ২৫ ব্লক এবং পাঁচটি পুরসভা এলাকায় খোঁজখবর শুরু হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই কেউ কেউ পরিবারের অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সরাসরি পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ফেরত দিচ্ছেন।” এর পাশাপাশি, জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘ব্লক প্রশাসন এবং পুরসভার তরফের অতিরিক্ত কার্ড হাতে রয়েছে এমন লোকেদের সন্ধান জানার পর নির্দিষ্ট ওই পরিবারের নামে একটি মাত্র ইউআরএন কোড চালু রাখা হচ্ছে। বাকিগুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’’
বিনা খরচে রাজ্যবাসীকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই চালু হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। রাজ্যব্যাপী কয়েক দফায় ‘দরকার সরকার’ কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্তির পরেও কী ভাবে এই অনিয়ম হল, স্বাভাবিক ভাবেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা