ভারতের দীর্ঘতম বিদ্যুতায়িত রেল টানেলের ফলে কমেছে ৭২ কিমি দূরত্ব! কোথায় আছে জানেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটিয়েছে ভারতীয় রেলের দীর্ঘতম বিদ্যুতায়িত টানেল। এটি দক্ষিণ-মধ্য রেলের চেরলপল্লী ও রাপুড়ু স্টেশনের মাঝে অবস্থিত। ২০১৯ সাল থেকে কাজ করা শুরু করে এই টানেলটি। সম্প্রতি নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে এই টানেলের কথা উল্লেখ করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways) ।

এই টানেলটি ৬.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। ওবুলাভারিপল্লী, ভেঙ্কটচলম, কৃষ্ণপত্তনম বন্দর রেলওয়ে লাইনের অন্তর্গত এই টানেল। এটি হওয়ার ফলে গুন্তকাল ডিভিশন থেকে কৃষ্ণপত্তনমের দূরত্ব ৭২ কিলোমিটার কমেছে। পাশাপাশি, ওবুলাভারিপল্লী, রেনিগুন্তা ও গুদুর সেকশনে ট্র্যাফিকের ঘনত্ব কমাতেও সাহায্য করেছে এটি। 

২০১৯ সালের ২৫ জুন দেশের দীর্ঘতম বিদ্যুতায়িত টানেল কাজ করা শুরু করে। প্রাক্তন উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইড়ু এই টানেলটিকে ভারতীয় রেলের মুকুটে একটি গৌরবময় পালক হিসেবে চিহ্নিত করেন। জানা গিয়েছে, এটি তৈরি হতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৪৩৭ কোটি টাকা। এর ভিতর ৪৪টি ট্রলি রিফিউজ এবং ১৪টি ক্রস প্যাসেজ রয়েছে। 

দেখে নিন এই টানেলে আর কী কী ফিচার্স রয়েছে।

১। এই টানেলটির নকশা একটি ঘোড়ার নালের মতো। অর্থাৎ, ইংরেজি বর্ণমালার ‘ইউ’ অক্ষরের মতো দেখতে এই টানেল।

২। অত্যাধুনিক নতুন অস্ট্রেলীয় টানেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এই টানেলটি নির্মাণ করা হয়।

Indian Railways

৩। প্রতি ১০ মিটার অন্তর এলইডি লাইট দেওয়া রয়েছে। যাতে টানেলটি আলোকিত থাকে। 

৪। রেল লাইন থেকে ছাদ অবধি টানেলটির উচ্চতা ৬.৫ মিটার। 

৫। ৫.২ মিটার উচ্চতায় ৩০০ মিলিমিটার চওড়া রেলের বৈদ্যুতিক তার লাগানো রয়েছে।

এই টানেলের মাধ্যমে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ উপকূল সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ-মধ্য রেলের পণ্যপরিবহন ব্যবস্থাকেও উন্নত করতে সক্ষম হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম ‘সবুজ রেল নেটওয়ার্ক’ হওয়ার আদর্শে এগোচ্ছ ভারতীয় রেল। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে শূণ্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যপূরণ করতে চায় তারা। সম্প্রতি রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ডিসেম্বরের মধ্যে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালুর ঘোষণা করেছেন।

Indian Railwaysরেল সূত্রে খবর, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মোট ৪১০০ কিলোমিটার রেলপথের বিদ্যুতিকরণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও গত সপ্তাহে দেশের সপ্তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, স্বাধীনতার ৭০ বছরের মধ্যে ২০ হাজার রুট কিলোমিটার রেল পথের বিদ্যুতিকরণ হয়েছে। 

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর