বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট ( Panchayet Election )। কিছুমাস আগে থেকে একের পর এক ইস্যুতে রাজ্যে ক্রমাগত বিরোধীদের তোপের মুখে শাসক দল। চলছে অভিযোগ, পাল্টা – অভিযোগ এর ঢিল ছোড়াছুড়ি। এরই মাঝে এবার রাজ্যের দুর্নীতি ইস্যুতে শাসকদলকে বিধলেন মিঠুন চক্রবর্তী ( Mithun Chakraborty )।
মিঠুনের বক্তব্য, দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা অন্যদিকে এসবের পরেও হুঁশ ফিরছে না বাংলার মানুষের। যা নিয়ে এদিন হতাশাও প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। প্রসঙ্গত গতকাল ৫ দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ৫ দিনে, ৫ জেলায় সাংগঠনিক সভা করবেন তিনি। তার সঙ্গে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumdar )।
সূত্রের খবর আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট প্রচারেই তার বাংলার মাটিতে পা। গতকাল কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে তিনি জানান, দলের সভাপতির নির্দেশে এসেছেন, কর্মসূচী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ‘যা করব সবাই জানতে পারবেন , লুকিয়ে কিছু করব না।’
মহানগরীতে পা রেখেই বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে তীব্র কটাক্ষের সুরে বিধলেন তিনি । মিঠুন বলেন, “বাংলার ইমেজ এখন ফাটাফাটি। সব জিনিস টপ গিয়ারে চলছে। দুর্নীতিতে নম্বর ওয়ান। হিংসায় নম্বর ওয়ান। এখন বাংলাকে হারানো মুশকিল আছে।” মিঠুনের দাবি, একটা সময় ছিল যখন বাঙালি বলে গর্ববোধ করা যেত। এখন কিছু বললে সকলে হাসে।
মিঠুনের বক্তব্য, দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরও হুঁশ ফিরছে না বাংলার মানুষের। তিনি আরও বলেন, “কোনও পলিটিক্যাল সাপোর্ট না নিয়ে রাস্তায় বসেছে, আন্দোলন করছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কোনও বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের সাপোর্ট নেয়নি। কিন্তু, বাংলার মানুষের হল কী? যে বাংলাকে আন্দোলনের মুখ বলা হত, বিপ্লবের মুখ বলা হত সেই মানুষরা কোথায়? কেন পার্টিদের আসতে হবে? কেন লাগবে পার্টি? কালকে সব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে যদি মাঠে মানুষ নেমে পড়ে। কিন্তু তারা কোথায়? আমি বিল্পবের মধ্যে বড় হয়েছি। সেখানে এটা বুঝতেই পারি না কী করে হল। আমার মাথায় কিছু আসে না।”
এছাড়াও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভের সুরে মিঠুন বলেন, ” দিন দিন বাংলাদেশ যে জায়গায় চলে গিয়েছে সেখান থেকে কী করে ফিরবে আমি জানি না। তবে এর জন্য আমরা সকলেই দায়ী।” সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন তিনি।
হুঙ্কার দিয়ে বলেন “মিডিয়া দায়ী। ভোটের পরে যে হিংসা হয়েছে, সেটা কতটুকু দেখিয়েছে মিডিয়া? দেখালে আজকে এই জায়গাটা আসত না। একটা রাজ্যে কোনও মিডিয়াই ছিল না যারা এই হিংসাকে দেখাবে। ৫৯ জন মানুষকে খুন করা হয়েছে। ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু, এক-দুজন ছাড়া কোনও সংবাদমাধ্যম সামনে আসেনি। আমি বিজেপির হয়ে কথা বলছি না। আমি এটা সাধারণ মানুষ হিসাবে বলছি।”
একদিকে রাজ্যে ডিসেম্বর ডেডলাইন-ধামাকা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে অন্যদিকে এসবের মধ্যেই তৃণমূল ভাঙার হুঙ্কার মিঠুনের। সবকিছু মিলিয়ে শাসক-বিরোধী দ্বন্দে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।