বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর (telecommunication sector) দেশের (India) উন্নয়নের মেরুদণ্ড হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু এই সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত কয়েক দশক পুরনো আইন এই মেরুদণ্ডের বড় ব্যথা হয়ে উঠেছিল। ভারত সরকার এবার সেই পুরনো আইন বদলানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকার চাইছে যে, কোম্পানিগুলো একে অপরের সঙ্গে বিলীন হোক, বিস্তার আর ব্যবসা করার জন্য আমলাদের থেকে অজস্র অনুমতি নেওয়ার দরকার না পড়ুক আর ভবিষ্যতে তাঁদের আদালতে যেন মামলা লড়ার প্রয়োজন না হয়।
দ্য মিন্টের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, দূরসঞ্চার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে নিজের কার্যালয়ে একটি সাক্ষাৎকারে সরকারের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনার কথা জানান। উনি জানান, সরকার এমন রাস্তা খুঁজছে, যাতে এই কোম্পানিগুলোর ব্যবসা করতে সহজ হয়। সরকার ২০২০-র ফেব্রুয়ারি মাসেই এই নিয়ম চালু করার লক্ষ্যে নেমেছে।
বৈষ্ণব ঔপনিবেশ যুগের ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইনের কথা উল্লেখ করে বলেন, টেলিকম এখনও ১৮৮৫ সালের আইনেই চলছে। সমস্ত কিছুর পরিবর্তন হলেও টেলিকম ৬০-৭০ বছরের পুরনো রেগুলেশনেই শাসিত। উনি জানান, সরকার এখন এই নিয়মগুলোকে সম্পূর্ণ ভাবে বদলাতে চলেছে।
টেলিকমিউনিকেশ সেক্টরের জন্য আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া আর সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দিকে নজর কাড়ার যোজনা নিয়ে বৈষ্ণব বলেন, ভারতের কোটি কোটি মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য একটি সম্পন্ন টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির দরকার। চীন আর সাউথ কোরিয়ার মতো দেশ অনেক আগে থেকেই 5G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। আশা করছি আগামী বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ভারতেও 5G পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে।