বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে মাত্র কিছুদিন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ২০২৫ এর দুর্গাপুজোয় রাজ্যের পুজো কমিটিগুলির জন্য উপুড় হস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একলাফে ২৫ হাজার অনুদান বাড়িয়ে এবারে পুজো কমিটিগুলির জন্য ধার্য করা হল ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৌতিক তরজা। বিরোধীদের পাশাপাশি এবার মমতার অনুদান ইস্যুতে ফুঁসে উঠলেন ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি (Twaha Siddiqui)। একের পর এক মন্তব্যে নিজের কথাতেই বিস্ফোরণ ঘটালেন পীরজাদা।
মমতা অনুদান বাড়াতেই বাড়ছে ক্ষোভ? ফোঁস করে উঠলেন পীরজাদা | Twaha Siddiqui
এক ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকারে এই ইস্যুতে ত্বহা সিদ্দিকি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় আমি খুশি নই ভাই। কে খুশি জানি না। আমি চাইছিলাম পুজো কমিটি গুলোকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়ার উচিৎ। দু’লক্ষ টাকা করে দিক মুখ্যমন্ত্রী। আর কালীপুজো কমিটিকে আরও এক লক্ষ করে দিক। অবাঙালিদের ছটপুজোয় আরও এক লক্ষ টাকা করে দিক। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। খুব খুশি আমি এতে।”
এরপরই সুর বদল করে পীরজাদা বলেন, “ইদ কমিটিকে আমরা বারো তেরো বছর ধরে বলে আসছি। আমাদের ১ লক্ষ ১০ তো দূরের কথা, ১০ টাকাও দেয়নি। কেন জানেন? মুসলিমদের এখন দেব না। এরা ফাঁদে পড়া আছে। এ ধরণের ফাঁদে ফেলে যত পারি এদের করে নেব।”
মুসলিমদের হয়ে আওয়াজ তুলে পীরজাদা বলেন, “মুসলিমরা যদি বলে আমাদের কেন দিচ্ছে না? আমি বলব, আমাদের দেওয়ার সময় হয়নি এখনও। সামনে রাজারহাটে হিডকোর জমি আছে। রাজারহাটে ১৩ টা হিডকোর জমির উপর মন্দির হয়েছে। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আপনি একটা হিডকোর জমির উপর ওয়াকফ বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দিয়ে মসজিদ বানিয়ে দেখান।” তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে ত্বহা বলেন, “আমার বলার সময় আসেনি। আসলে আমি বলব।” তাহলে কী তিনি সঠিক সময় বলতে ভোটের দিকে ইঙ্গিত করলেন? এমন সম্ভাবনার কথাও উঠছে।
দিঘার জগন্নাথ মন্দির প্রসঙ্গ উঠতে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি বলেন, “এখন মুখ্যমন্ত্রীর মুসলিম ভোট প্রয়োজন নাই। মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম ভোট বস্তায় ভরে নিয়েছেন একেবারে। উনি ভেবেই নিয়েছেন ওঁনার মুসলিম ভোট এদিক-ওদিক হবে না। আর হিন্দু ভোট এদিক-ওদিক হচ্ছে বলে দুর্গাপুজো করতে হবে। আবার দুর্গামন্দির করে দেবে বলছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, হিন্দুদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এই সব ঘোষণায় ত্বহা সিদ্দিকি যে মোটেও খুশি নন, সেটাই বুঝিয়েছেন নিজের কথায়।