Bangla Hunt Desk: নিজের বাগদত্তাকে খুশি করতে মানুষ কত কি না করে, কিন্তু তাই বলে লোক ঠকানো? সম্প্রতি ভোপাল (Bhopal) থেকে এমন এক ঘটনার উদাহরণ উঠে এসেছে, যা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন সকলেই। শুধুমাত্র ৩ জন মিলে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে তাঁদের প্রতারণার শিকার বানিয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকজন প্রতারিত হওয়া ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে ভোপালের সাইবার ক্রাইম।
জানা গিয়েছে, ডেভিড কুমার, নেহা ভট্ট, মনীষা ভট্ট এবং কমল কাশ্যপ এই ৪ জন ছিল এই প্রতারকদের টিমে। এর মধ্যে ডেভিড কুমারের বাগদত্তা হলেন নেহা ভট্ট। এই নেহা ভট্টের বোন হলেন আবার মনীষা ভট্ট। এদিকে ডেভিড কুমার আবার জাটভ অনলাইন ওয়েব ডিজাইনিং কোর্সও করেছেন।
প্রতারণার কাজ
২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে তারা এই প্রতারণার কাজ করছে। তারা একটি জাল ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখান থেকে মানুষজনকে লোন দেওয়ার প্রস্তাব দিত। শুধু তাই নয়, গুগল বিজ্ঞাপনে অনলাইন বিজ্ঞাপনও দিত তারা। তাঁদের এই সমস্ত কাজ পরিচালনার জন্য ইউপির নোয়াডায় দুটি কল সেন্টার চালু করা হয়েছিল, যেখানে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মেয়ে কাজ করত। সমস্ত কাজের দেখভাল করত নেহা ভট্ট।
জড়িত ছিল বাগদত্তার বোনও
এই টিমের সাথে নেহা ভট্টের বোন মনীষা ভট্টও জড়িত ছিল। সে এই কল সেন্টারের প্রধান ছিল। গ্রাহকদের ফোন আসার পর, তাঁদের ঋণের জালে ফাসানোই ছিল প্রধান কজ। এই কাজে ব্যবহৃত নকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং সিম কার্ড সরবরাহ করতেন কমল কাশ্যপ।
লোনের নাম করে হাতিয়ে নিত হাজার হাজার টাকা
পুলিশ সূত্রের খবর, লোনের প্রয়োজন যেসকল কল ওয়েবসাইটে নিজের তথ্য আপলোড করত, তখন প্রতারকরা কল সেন্টারের মাধ্যমে তাঁদের ফোন করত। গ্রাহকদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাঁদের থেকে প্রসেসিং ফি, সুরক্ষা আমানত, জিএসটি এবং এককালীন লেনদেনের নামে ৩০-৪০ টাকা নিয়ে নিত। মাত্র ২-৩ মাসের জন্য এক একটা ওয়েবসাইট ব্যবহার করত এই টিমটা। লোকেদের ফাঁসানো হয়ে গেলে, সেই ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিত।
ঠকিয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে
প্রতারকদের এই টিমটা দুটি কল সেন্টার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ থেকে ২০০০ লোককে প্রতারণা করত বলে জানা গিয়েছে। এইভাবে প্রায় ১০ হাজার মানুষের থেকে ১০ কোটি টাকা আদায় করেছে। তাদের কাছ থেকে ৬ টি ল্যাপটপ, ২১ টি পেন ড্রাইভ, ২৫ টি মোবাইল, ১৯ টি ডেবিট কার্ড, ৮ টি সিম কার্ড এবং আরও অনেক গুরত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।