বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুধু সুন্দর চেহারা থাকলেই হয় না। অভিনয়টাও ক্ষুরধার হওয়া চাই। তবেই না অভিনেতা তকমার যথাযথ প্রয়োগ। বলিউডে এমন অভিনেতা যে কজন রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম গজরাজ রাও (Gajraj Rao)। বধাই হো, শুভ মঙ্গল জেয়াদা সাবধান এর মতো ছবিতে নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এখন তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম হলেও এক সময় এমন পরিস্থিতি ছিল যখন গাড়ি ভাড়ার টাকা থাকলে খাওয়ার টাকা থাকত না গজরাজের কাছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজের স্ট্রাগলিং জীবনের কথা তুলে ধরেছেন গজরাজ রাও। সেখানেই তিনি জানান, পাকাপাকি ভাবে মুম্বইতে থাকতে শুরু করার আগেও তিনি ওই শহরে এসেছিলেন কাজের খোঁজে। নিজের এক বন্ধুর বাড়িতে থাকছিলেন গজরাজ। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি। সে সময়ে টাকার অত্যন্ত টানাটানি চলছিল তাঁর।
গজরাজ বলেন, “অন্ধেরি থেকে ওরলি গিয়েছিলাম আমি চিত্রনাট্য শোনাতে, আর ওরা আমার চিত্রনাট্য ফিরিয়ে দিয়েছিল। আমার পকেটে মাত্র ৫-৬ টাকা পড়ে ছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না কী করব। আমার কি ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত নাকি কিছু খাওয়া উচিত ওই ৬ টাকা দিয়ে? আমার বিশ্বাস ছিল যে আমার চিত্রনাট্য নির্বাচিত হবে আর আমি কিছু অগ্রিম পাব। সেদিন আমার চোখে সত্যিই জল এসে গিয়েছিল এটা ভেবে যে আমি করব”।
সেদিন বাড়ি ফেরার জন্য বন্ধুর থেকে টাকা ধার নিতে হয়েছিল গজরাজকে। সবটা শুনে ৫০০ টাকা ধার দিয়েছিলেন সেই বন্ধু। ওই সময়ে ৫০০ টাকা একটা বড় অঙ্ক ছিল। গজরাজ জানান, লজ্জায় মাটিতে মিশে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল তাঁর। এই অবস্থা এসে গিয়েছে যে অন্যের থেকে টাকা ধার নিতে হয়েছে!
কিন্তু সেদিন একটা শিক্ষা হয়েছিল গজরাজের। যে প্রযোজক তাঁকে সেদিন ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে চিত্রনাট্য ভাল না হলেও চিন্তা করার মতো কারণ নেই। কিন্তু সেই খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল গজরাজকে।
আজ পরিস্থিতি বদলেছে। প্রতিভার যোগ্য সম্মান পেয়েছেন গজরাজ রাও। জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে সাফল্যও পেয়েছেন তিনি। আগামীতে ‘মজা মা’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে গজরাজকে। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত।