বাংলা হান্ট ডেস্ক : গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ (Galwan Valley clashes) সামাল দেওয়ার জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Content) বরাবর দ্রুত সেনা মোতায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই জন্য সারা দেশ থেকে রাতারাতি ৬৮ হাজারেরও বেশি সেনা, ৯০ টি ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য হাতিয়ার এয়ার লিফট করে পূর্ব লাদাখে নিয়ে গেল ভারতীয় বায়ু সেনা (IAF airlifted 68000 soldiers)।
শুধু সেনাদের এয়ার লিফট করাই নয়, সংঘর্ষ পরিস্থিতিতে ‘আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে’ যুদ্ধবিমানের বেশ কয়েকটি স্কোয়াড্রন স্থাপন করা হয়েছে ওই এলাকায়। সু-৩০ এমকেআই সহ জাগুয়ার ফাইটার জেট গুলিকে সর্বক্ষণ এই অঞ্চলে নজরদারি করার জন্য এবং শত্রুপক্ষের থেকে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মোতায়ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৫ই জুন সংঘর্ষে কেঁপে উঠেছিল গালওয়ান উপত্যকা, যাকে গত এক দশকের মধ্যে সবথেকে ভয়ংকর সংঘর্ষ বলে অভিহিত করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় পরিস্থিতি দ্রুত পুনরুদ্ধার করার জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনী সৈন্য আর অস্ত্র সেখানে পৌঁছে দেয়। এর থেকেই প্রমাণিত হয় ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ারলিফ্ট করার ক্ষমতা আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয় সেই সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী রীতিমত চিনের ওপর নজরদারি চালিয়েছিল। বিমানগুলিকে সেই কাজে ব্যবহার করা করা হয়েছিল। দূরবর্তী পাইলট বিমানও মোতায়েন করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর ২০২০ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনী ৬৮ হাজার সেনার সঙ্গে ৯০টি ট্যাঙ্ক, ৩০০ বেশি বিএমপি পদাতিক যুদ্ধযান, ব়্যাডার সিস্টেম, আর্টিলারি বন্দুক ও প্রচুর পরিমাণে যুদ্ধ সরঞ্জাম ও খাবার ওষুধ দ্রুত পূর্ব লাদাখে পৌঁছে দিয়েছিল।
গালওয়ানে সংঘর্ষের পর রাফালে এবং মিগ-২৯ বিমান সহ প্রচুর ফাইটার জেটকে যুদ্ধ বিমান টহল দেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া বায়ুসেনার বিভিন্ন হেলিকপ্টারগুলিকে পূর্বনির্মাণ কাঠামো, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জামের অতিরিক্ত জিনিসগুলি পাহাড়ের সেনাঘাঁটিতে বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল।
সূত্রের খবর, সু-৩০ এমকেআই এবং জাগুয়ার ফাইটার জেটগুলির নজরদারির পরিসীমা ছিল প্রায় ৫০ কিলোমিটার। সেগুলির সাহায্যে চিনা সেনাদের অবস্থান এবং গতিবিধি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল।
এছাড়াও বায়ুসেনা বিভিন্ন রাডার ইনস্টল করে এবং এই অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ফ্রন্টলাইন ঘাঁটিতে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে আসে, যার ফলে আকাশপথে প্রতিরক্ষার ক্ষমতা এবং যুদ্ধ প্রস্তুতি অনেকটাই বেড়েছে বলে জানিয়েছে আইএএফ। বায়ুসেনার প্ল্যাটফর্মগুলি অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করে সমস্ত মিশনের লক্ষ্য পূরণ করেছিল।