শেষ জীবন পর্যন্ত ছিল উপচে পড়া গ্ল্যামার, কী রহস্য ছিল শ্রীদেবীর চাবুক ফিগারের পেছনে?

বাংলাহান্ট ডেস্ক: মদ যতই পুরনো হবে, ততই তার নেশা ধরানোর ক্ষমতা বাড়বে। কথাটা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছিল শ্রীদেবীর (Sridevi) ক্ষেত্রে। সৌন্দর্যের মাদকতায় ঘোর লাগিয়ে দিতেন তিনি চোখে। ‘চাঁদনি’ বা ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’তে নীল শাড়িতে শ্রীদেবীকে দেখে কত যে পুরুষ হৃদয় উদ্বেলিত হয়েছিল তার হিসাব কে রাখে!

দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে হিন্দি সিনেমার দর্শককে মাতিয়ে রেখেছিলেন শ্রীদেবী। ‘ইংলিশ ভিংলিশ’, ‘মম’ এর মতো শেষের দিকের ছবিগুলিতেও তাঁর টানটান ফিগার ঈর্ষা জাগাত তরুণী অভিনেত্রীদের মনে। বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেলেন শ্রীদেবী, এ আক্ষেপ কখনো মেটার নয়।

What mystery was there behind sridevi glamour

২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিনেত্রীর মৃত‍্যুর খবর যেন বোমার মতোই ফেটেছিল। মুম্বইতে যখন তাঁর মরদেহ এল তখনো বিশ্বাস করতে পারেননি অনেকেই। শ্রীদেবীর মৃত‍্যুর সঙ্গে সঙ্গে কিছু প্রশ্নের উত্তরও হারিয়ে গিয়েছে চিরতরে। তার মধ‍্যে অন‍্যতম, অভিনেত্রীর সৌন্দর্যের রহস‍্য।

আরও পড়ুন: কী হয় যাদবপুরের অন্দরে? স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে বিষ্ফোরক তথ্য ফাঁস অরিত্রর 

নব্বইয়ের দশকের কথা। শ্রীদেবী তখন কেরিয়ারের শীর্ষে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিচ্ছেন। তখনি হঠাৎ দাবানলের মতো ছড়িয়ে একটা গুঞ্জন। যৌবন ধরে রাখতে নাকি মাদক ইঞ্জেকশন নেন শ্রীদেবী! সত‍্যি নাকি? ‘রূপ কি রানি চোরোঁ কা রাজা’ ছবির একটি ইভেন্টে এক সাংবাদিক প্রশ্নটা করেই বসেন অভিনেত্রীকে।

আরও পড়ুন: একটা সিরিয়াল করেই হিট, ধৈর্য্য বলে কিছু নেই, নাম না করে কাকে বিঁধলেন রচনা!

প্রথমটা ভীষণ অবাক হলেও পরক্ষণেই শ্রীদেবী জানান, এমন কিছুই তিনি করেন না। কিন্তু কোনো কারণে প্রশ্নটা ভাবিয়ে তুলেছিল তাঁকে। কারণ সাংবাদিক পরবর্তী প্রশ্নে চলে গেলেও শ্রীদেবী তখনো ইঞ্জেকশনের প্রশ্নটি নিয়েই ভেবে চলেছিলেন।

সোজাসাপটা কথা বলতে ভালবাসতেন শ্রীদেবী। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অভিনেত্রী হলেন কেন? এতটুকুও রাখঢাক না করে সটান জবাব দিয়েছিলেন শ্রীদেবী, “কারণ আমি নাচতে ভালবাসি। তাছাড়া খ‍্যাতি থেকে একটা আত্মতুষ্টি পাওয়া যায় আর ছবি থেকে টাকা তো মেলেই। দুটোই আমি ভালবাসি।”

Avatar
Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর