বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অপ্লস্বল্প সমস্যা থাকলেও এবারে বিরাট আকার ধারণ করল কংগ্রেস দলের মধ্যেকার অন্তর্দন্ধ। পরপর দুবার লোকসভা নির্বাচনে হারের পর নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই শুরু হয়ে গেছে দলের মধ্যেই। দিল্লী নির্বাচনে মুখথুবড়ে পড়ার পর থেকেই এক চাপা ক্ষোভ প্রকাশ পায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আগে থেকেই দুটো দলে বিভক্ত ছিল দলের সদস্যরা, আর এই হারের পর সেই সমস্যা চরম আকার নেয়। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) পদত্যাগের পর সভাপতির স্থানে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নাম প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় ঝামেলা।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় প্রথম কংগ্রেসের মধ্যে থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। এমনকি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও (Jyotiraditya Scindia)
দলের বিরোধীতা করেন। এরপর এবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতও নিজেদের দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
তিনি বলেন, কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা সভাপতি নির্বাচনে ভয় পাচ্ছেন। বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা কে বাঁধবে, সেটাই কেউ ঠিক করতে পারছেন না। কংগ্রেস দলে এমন ৬-৮ জন নেতা আছেন, যারা গোটা দেশে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে নেতা নির্বাচন করার সময় এসেছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি অমরিন্দর সিং, এ কে অ্যান্টোনি, অশোক গেহলট, পি চিদম্বরম, সলমন খুরশিদদের নাম করেন।
শশী থারুর (Shashi Tharoor) তাঁর এই বক্তব্যকে সমর্থন করে ট্যুইট করেন, “সন্দীপ দীক্ষিত একদম ঠিক কথা বলছেন,এটা অসংখ্য কংগ্রেস কর্মীর মনের কথা। কংগ্রেস দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদ আছে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা যত শীঘ্র সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।”