বাংলাহান্ট ডেস্ক : অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) পোশাক কারখানায় গ্যাস লিক করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কমপক্ষে ১৫০ জন মহিলা। জানা যাচ্ছে, কারখানার চত্বরে কয়েকজনের চিকিৎসা করা হচ্ছে অসুস্থদের। প্রায় ৫০ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তবে কীভাবে গ্যাস লিক হয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের অতচ্যুতাপুরমের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থায় গ্যাস লিক হতে থাকে। যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পশু চিকিৎসার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কারখানাও আছে। গ্যাস লিকের জেরে কর্মচারীদের বমি হতে পারে। অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। কয়েকজন সংজ্ঞাও হারিয়ে ফেলেন। পোশাক কারখানার চত্বরেই কয়েকজন চিকিৎসা শুরু হয়। প্রায় ৫০ জনকে ইতিমধ্যেই স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
আনাকাপাল্লের পুলিশ সুপার জানান, ব্র্যান্ডিক্স নামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি কাপড়ের কারখানায় গ্যাস লিক হয়েছে। ওই শিল্পাঞ্চলে কাজ করেন কয়েক হাজার মহিলা। কারখানায় কাজ চলাকালীন আচমকাই কর্মীরা অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। সকলেই বমি করতে থাকেন। তখনই গ্যাস লিকের ব্যাপারটি নজরে আসে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অসুস্থ কর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না-হওয়ায় অন্তত ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অঞ্চলটি খালি করে দেওয়ার প্রক্রিয়াও চালু করে দেওয়া হয়েছে।
গত ৩ জুনেও ওই শিল্পাঞ্চলে একটি রাসায়নিক পরীক্ষাগারে গ্যাস লিকের ঘটনা ঘটেছিল। অন্তত ২০০ জন মহিলা কর্মী অসুস্থ হয়েছিলেন সেই ঘটনায়। ফরেন্সিক পরীক্ষার পর আধিকারিকেরা জানান, অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। অন্ধ্রপ্রদেশ দূষণ পর্ষদ পরীক্ষাগারটিকে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের পর কয়েক দিন বন্ধ থাকলেও, এখন কিন্তু আবার খুলেছে পোরাস ল্যাব নামের ওই গবেষণাগার।