বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের প্রতিভাবান যুবক-যুবতীরা ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা অর্থাৎ ইসরোতে চাকরি করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকেন। বহু মেধাবী পড়ুয়াদের লক্ষ্য ইসরো। তবে এমন খুব কম মানুষ দেখা যায় যারা কিনা ইসরোর মতো সংস্থায় চাকরির সুযোগ পেয়েও হেলায় ছেড়ে দিতে পারেন। বর্ধমানের রাজা মাজি এমনই এক ব্যক্তি।
তিনি ইসরোতে সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দিয়েছিলেন চাকরির অফার। রাজার লক্ষ্য ছিল অন্য। সেই লক্ষ্যে আজ পৌঁছে তিনি উজ্জ্বল করেছেন বাংলার মুখ।গ্রাজুয়েট আপটিটিউট টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (GATE) অর্থাৎ সর্বভারতীয় স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম স্থান (GATE Topper Succes Story) অধিকার করেছেন বর্ধমানের রাজা মাজি।
আরোও পড়ুন : মাস্কের চিপ মাথায় বসিয়ে কামাল, কম্পিউটার চালানো থেকে দাবা খেললেন পঙ্গু ব্যক্তি
২০২৪ সালের সর্বভারতীয় স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় গোটা ভারতে প্রথম স্থান দখল করে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিনি। রাজার এই সাফল্যে বর্ধমানের পাশাপাশি গর্বিত বাংলার মানুষও।বর্ধমানের খালুইবিলুই মাঠ এলাকার বাসিন্দা রাজা। বর্ধমান মিউনিসিপাল হাইস্কুল থেকে ২০১০ সালের মাধ্যমিক পাশ করেন।
আরোও পড়ুন : জারিজুরি শেষ! INS কলকাতার দাপটে নতজানু জলদস্যুরা, ৩৫ জনকে ধরে আনা হল ভারতে
তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৬ সালে সেখান থেকে স্নাতক হন তিনি। তারপর ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনে পাঁচ বছর চাকরি করেছেন রাজা। তবে তাঁর ইচ্ছা ছিল শিক্ষকতা করা। তাই চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিষ্ণুপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত হন রাজা। তবে রাজার লক্ষ্য ছিল উচ্চশিক্ষার।
চাকরি করার পাশাপাশি গেট পরীক্ষার প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই পরীক্ষাতেই এবার এল বড় সাফল্য। এর মাঝেই ইসরো থেকে আসে কাজের সুযোগ। তবে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে রাজা সেই চাকরির অফার প্রত্যাখ্যান করেন। রাজা জানিয়েছেন তিনি ভবিষ্যতে শিক্ষকতার কাজেই যুক্ত থাকতে চান।