বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিটি বছরেই বার্ষিক আয়ের ভিত্তিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় ভারতের সফলতম বিজনেস টাইকুনদের মধ্যে। বিপুল অঙ্কের অর্থলাভের পাশাপাশি এই লড়াইতে কে কতটা এগিয়ে রইলেন তা জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন সকলেই। এবার সেই তালিকাই সামনে এলো।
জানা গিয়েছে যে, বার্ষিক আয়ের ভিত্তিতে ২০২১ সালে আদানি গ্রূপের কর্ণধার গৌতম আদানি এবং দেশের অন্যতম বৃহৎ আইটি কোম্পানি উইপ্রো’র কর্ণধার আজিম প্রেমজি হারিয়ে দিয়েছেন ভারতের তথা বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের মুকেশ আম্বানিকেও! প্রেমজির মোট সম্পদ এই বছর প্রায় ১৫.৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৪১.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমান সবচেয়ে বেশি ফুলেফেঁপে উঠেছে। তাঁর মোট সম্পদ প্রায় ৪১.৫ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। পাশাপাশি, আদানির তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি বিপুল হারে রিটার্নও দিয়েছে। গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারও এই বছর ২৪৫ শতাংশ বেড়েছে। একইভাবে, আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার ২৮৮ শতাংশ এবং আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ার ৩৫১.৪২ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে, উইপ্রো’র আজিম প্রেমজি এই বছর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং এশিয়ার সবচেয়ে বড় ধনী মুকেশ আম্বানির থেকেও বেশি আয় করেছেন। তবে, Bloomberg Billionaire index অনুসারে জানা গিয়েছে যে, বিশ্বের প্রথম ১০ জন ধনী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পাননি কোনো ভারতীয়।
যদিও, ৮৯.৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে এই তালিকায় ১২ নম্বর স্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। গত বছর তাঁর মোট সম্পদ প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। যার সুবাদে তিনিই এখন এশিয়ার ধনী ব্যক্তি। পাশাপাশি, গৌতম আদানি প্রায় ৭৫.৩ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক হয়ে বর্তমানে বিশ্বের ধনী ব্যক্তির তালিকায় ১৪ তম স্থানে এবং এশিয়ায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। সম্প্রতি চিনের ঝং শানশান তাকে টপকে এশিয়ার ধনী ব্যক্তির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন।
এঁরা ছাড়াও ভারতের অন্যান্য শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীরাও বিপুল হারে লক্ষ্মীলাভ করেছেন ২০২১-এ! DMART-এর প্রবর্তক রাধাকিশান দামানির মোট সম্পদ গত বছরে প্রায় ৯.৫১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ২৪.৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। পাশাপাশি, এইচসিএল টেকের শিব নাদারের মোট সম্পদ গত বছরে ৮.৪০ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৩২.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এই আইটি কোম্পানির শেয়ারও প্রায় ৩৯ শতাংশ বেড়েছে।
অপরদিকে, সাবিত্রী জিন্দাল এবং কুমার মঙ্গলম বিড়লার মোট সম্পদ ২০২১-এ ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বেড়েছে। সান ফার্মার দিলীপ সাংঘভির মোট সম্পদের পরিমান ৪.২৮ বিলিয়ন ডলার, DLF-এর কেপি সিং-এর মোট সম্পত্তি ৩.৬১ বিলিয়ন ডলার এবং সম্প্রতি তালিকাভুক্ত ফ্যাশন স্টার্টআপ Nykaa-র ফাল্গুনী নায়ারের সম্পদ ৩ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। পাশাপাশি, ১৩.১ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের অধিকারিণী সাবিত্রী জিন্দাল বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ধনী মহিলা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন।