এবার আদানির ব্রিজ চুরি করে নিয়ে পালাল চোরেরা! রাতারাতি গায়েব ৬ হাজার কেজির ৯০ ফুট দীর্ঘ সেতু

বাংলা হান্ট ডেস্ক: চোরেরা (Thief) চুরি করেছে আর পুলিশ তাদের খুঁজে গ্রেফতার করেছে এমন ঘটনা হামেশাই শুনেছেন। প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেল খুললেই এরকম দু’একটা ঘটনা চোখে পড়েই। তবে আজ যে ঘটনা সামনে এসেছে তাতে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ গোটা দেশের। চোখের পলকে চুরি হয়ে গেল আস্ত একটা সেতু (6,000 kg iron bridge stolen)।

এর আগেও বিহারে এরকম অনেক কীর্তিই সামনে এসেছে। তবে এবারের ঘটনা বিহার নয় বরং দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মুম্বাইয়ের (Mumbai)। আশ্চর্যের বিষয় হল, এই সেতুটি ছিল নামী শিল্পপতি গৌতম আদানির (Gautam Adani) কোম্পানির। যার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৯০ ফুট এবং ওজন ছিল প্রায় ৬০০০ কেজি। মায়ানগরীর বাসিন্দাদের কাছে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে এই সেতু চুরির ঘটনাটি।

জানা গেছে গত বছরের জুন মাসে একটি ড্রেনের উপর প্রাথমিকভাবে এই সেতুটি স্থাপন করা হয়‌। আদানি ইলেকট্রসিটির কেবল তার নিয়ে যাওয়া হয় এই সেতুর মাধ্যমে। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে ড্রেনের ওপর স্থায়ী সেতু আসায় এই লোহার সেতুটি সরিয়ে নেওয়া হয়। আর তারপরেই ঘটে যায় এই অভাবনীয় ঘটনা।

সূত্রের খবর, প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল এই ব্রিজ নির্মাণকাজে। আর গত মাসে ক্রেনের সাহায্যে একটু একটু করে সবটাই উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরের দল। এরপর গত ২৬ জুন আদানি ইলেকট্রিসিটির আধিকারিকরা ব্রিজটি পরিদর্শন করতে গেলে তারা দেখতে পান যে ব্রিজটি নেই। এরপরেই স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তারা। তদন্ত করতে গিয়ে চারজনকে আটকও করেছে পুলিশ।

মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, সেতু চুরির ঘটনায় পুলিশ বিপাকে পড়ে যখন দেখে সেই স্থানে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। পরে পুলিশ আশেপাশের অন্যান্য সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে। সেখান থেকেই জানা যায় কিছু লোক গ্যাস কাটারের সাহায্যে ধীরে ধীরে সেতুটি কেটে নিয়ে গেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন নাকি ওই কোম্পানিরই কর্মচারী। আদানি ইলেকট্রিসিটি ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই ঠিকা দেওয়া হয়েছিল। যদিও তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এর সাথে আরো অন্যান্য লোকজন জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আদানি ইলেকট্রিসিটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, চুরি হওয়া সমস্ত জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর