বাংলাহান্ট ডেস্ক: সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না গৌতম আদানির (Gautam Adani)। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) রিপোর্টের পর বেশ বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল আদানি গ্রুপ। শেয়ার বাজারে নেমেছিল ধস। তবে ধীরে ধীরে সে সব সামলে উঠছে তারা। আবার হাল ফিরছে আদানির। কিন্তু এরই মধ্যে আবারও সিঁদুরে মেঘ দেখা গেল।
আদানি গ্রুপের (Adani Group) অধীনস্থ আদানি পাওয়ারের (Adani Power) সম্প্রতি ডিবি পাওয়ার (DB Power) কেনার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী সিসিআই-এর (CCI) সবুজ সঙ্কেতও পেয়ে গিয়েছিল তারা কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জে আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, এই চুক্তি চূড়ান্ত করার তারিখ পেরিয়ে গিয়েছে। এর আগে এই চুক্তি পাকা করার তারিখ ৪ বার দীর্ঘায়িত করা হলেও এ বার চূড়ান্ত সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চুক্তি পাকা করার শেষ তারিখ পেরিয়ে গিয়েছে।
এই চুক্তিটি পাকা হলে শক্তি ক্ষেত্রে আদানি গ্রুপ আরও মজবুত হত। এই চুক্তিটি ২০২২ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল। বিদ্যুৎ খাতে এটিই আদানি গ্রুপের দ্বিতীয় বৃহত্তম একীভূতকরণ এবং অধিগ্রহণ চুক্তি ছিল। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর আদানি গ্রুপ সেটির মোকাবিলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ফলে এই চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হয় তারা।
গত ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর এটি আদানি গ্রুপের জন্য দ্বিতীয় বড় ধাক্কা। এর আগে এই রিপোর্টের জন্য বাজার থেকে এফপিও তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল তারা। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বহু বছর ধরে আদানি গ্রুপ তাদের শেয়ারের দামে কারচুপি করে গিয়েছে। সংস্থা সরাসরি এই দাবি অস্বীকার করলেও বাজারে এর প্রভাব পড়েছিল।
এক সময় হুহু করে পড়তে থাকে আদানির শেয়ারের দর। বাজারে তাদের মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকারও নিজে চলে গিয়েছিল। এর ফলে নিজেদের কৌশল বদলে ফেলে আদানি গ্রুপ। এখন বৃদ্ধির পরিবর্তে নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে জোর দিচ্ছে আদানি গ্রুপ। বাজারে থাকা ঋণের বোঝা নিজেদের কাঁধ থেকে নামাতে ব্যস্ত আদানিরা।
এখনও অবধি দেশজুড়ে আদানি পাওয়ার ১৩.৬ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। সাতটি রাজ্যে একাধিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে তাদের। একইসঙ্গে একটি ৪০ মেগাওয়াটের সোলার কেন্দ্র রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২-এর তথ্য অনুযায়ী, সংস্থার মোট ৩৬ হাজার ৩১ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। ছত্তিশগড়ের জঞ্জির চম্পা জেলায় ৬০০ মেগাওয়াটের দু’টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে ডিবি পাওয়ারের। বর্তমানে দৈনিক ভাস্কর গ্রুপের (Dainik Bhaskar Group) অধীনে রয়েছে ডিবি পাওয়ার। তাদের মোট ঋণের পরিমাণ ৫৫০০ কোটি টাকা।