বাংলা হান্ট ডেস্ক: এশিয়া (Asia) তথা ভারতের (India) দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adani) এবার বিদেশে তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারণের দিকে মনোনিবেশ করছেন। Mint-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আদানি গ্রুপ তিনটি বিদেশি বন্দরের দিকে নজর রাখছে এবং এর জন্য তারা ৩ বিলিয়ন ডলারের ক্যাশ চেস্ট তৈরি করেছে। যেটি ভারতীয় মুদ্রায় হল প্রায় ২,৪৯,৭৭,৪৯,০০,০০০ টাকা। মূলত, আদানি গ্রুপ এবার ভারত-ইউরোপ করিডোরে তাদের উপস্থিতি শক্তিশালী করতে চায়।
এই প্রসঙ্গে সূত্র জানিয়েছে, দেশে আকরিক লোহা ও কয়লা আমদানির চাহিদা বাড়ছে। অন্যদিকে ফিনিশড গুডসের রপ্তানি বাড়ছে। এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চায় আদানি গ্রুপ। জানা গিয়েছে, ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি বড় বন্দরের দিকে তাদের নজর রয়েছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, গৌতম আদানি এশিয়া ও ভারতের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। যাঁর মোট সম্পদ হল ১০৪ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ১৪ নম্বর স্থানে।
এদিকে সূত্রের খবর অনুযায়ী, আদানি গ্রুপ তাদের বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে চায়। বর্তমানে তাদের কন্টেনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বার্ষিক প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এর মধ্যে ডোমেস্টিক ক্যাপাসিটি হল প্রায় ৪২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। গ্রুপটি আগামী দুই বছরে এই ক্ষমতা ৮০০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে। এজন্য বিদেশের একাধিক বন্দর কেনার পরিকল্পনা করেছে তারা। পাশাপাশি, বন্দরের রেভিনিউ বৃদ্ধির দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্কুলে চাকরি এবং মিড-ডে মিলের বরাতের টোপে তোলা হয়েছে ৬ কোটি, ফের বড় কেলেঙ্কারি বাংলায়
এর জন্য পরিকল্পনা হল আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিজেদের ব্যবসা বাড়ানো। যেখানে বর্তমানে চিনের আধিপত্যে রয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, Adani Ports and Special Economic Zone Limited (APSEZ)-এর রেভিনিউতে আন্তর্জাতিক বন্দরের অংশ বর্তমানে ১০ শতাংশ। যা আগামী তিন বছরে ২০ থেকে ২৫ শতাংশে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাঙালিপনায় কমল তেজ! “নতুন ভারত ঘরে ঢুকে মারছে”, জাতিসংঘে কান্নাকাটি পাকিস্তানের
কি রয়েছে পরিকল্পনা: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, APSEZ তিনটি বড় বন্দর কেনার পরিকল্পনা করছে। এ জন্য তারা তিন বিলিয়ন ডলারের ক্যাশ চেস্টও তৈরি করেছে। বর্তমানে কোম্পানিটির ইজরায়েল, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, তানজানিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় বন্দর রয়েছে। এছাড়া ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ফিলিপিন্সে বন্দর সংক্রান্ত কার্যক্রমে সহায়তার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ২০২৫ সালের অর্থবর্ষে আদানি পোর্টসের আয় ৩০,০০০ থেকে ৩১,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে অনুমান করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে, কোম্পানির কনসোলিডেটেড রেভিনিউ ২৮ শতাংশ বেড়ে ২৬,১১১ কোটি টাকা হয়েছে। যেখানে নেট লাভ ৫০ শতাংশ বেড়ে ৮,১০৪ কোটি টাকা হয়। জানিয়ে রাখি যে, APSEZ হল দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বন্দর অপারেটর। এটির ১৫ টি পোর্ট এবং টার্মিনাল রয়েছে।