বাংলা হান্ট ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ মামলায় ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adani) বড় স্বস্তি পেয়েছেন। ইতিমধ্যেই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া তথা SEBI তাদের তদন্ত শেষ করেছে এবং আদানি গ্রুপকে ক্লিন চিট দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, আদানি গ্রুপ এবং গ্রুপের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ প্রমাণের জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বড়সড় স্বস্তি পেলেন আদানি (Gautam Adani):
কী জানিয়েছে SEBI: ২০২৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে জারি করা চূড়ান্ত আদেশে, SEBI গৌতম আদানি (Gautam Adani) এবং তাঁর ভাই রাজেশ আদানি ও গ্রুপের অন্যতম প্রধান কোম্পানি আদানি পোর্টস, আদানি পাওয়ার এবং অ্যাডিকর্প এন্টারপ্রাইজেসকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
On Hindenburg’s allegations against Adani group companies, the Securities and Exchange Board of India (SEBI) concludes that there is no violation of the listing agreement or SEBI (LODR), and the impugned transactions do not qualify as “related party transactions” for the reasons… pic.twitter.com/gmjaDHbnjP
— ANI (@ANI) September 18, 2025
ওই আদেশে, SEBI-র পূর্ণকালীন সদস্য কমলেশ চন্দ্র ভার্শনে লিখেছেন, “আমি বিশ্বাস করি যে নোটিশপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে, তাঁদের ওপর কোনও দায়িত্ব স্থির করার প্রশ্নই আসে না। তাই কোনও জরিমানা বিবেচনা করার প্রয়োজন নেই।”
আরও পড়ুন: রতন টাটার প্রয়াণের পরে এই বিলাসবহুল হোটেল বিক্রির পথে টাটা গ্রুপ! ১৭,৬০০ কোটি টাকায় হতে পারে ডিল
অভিযোগগুলি কী ছিল: উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি, আমেরিকার শর্ট-সেলিং ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ তুলে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। ওই রিপোর্টে বলা হয় যে, আদানি গ্রুপ শেয়ারে কারসাজি করেছে। পাশাপাশি, গোপনে অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি এবং অনিয়ম করেছে। এছাড়াও, অফশোর ট্যাক্স হ্যাভেন এবং শেল সংস্থা ব্যবহার করে ফান্ড স্থানান্তর করা হয়েছিল। হিন্ডেনবার্গ দাবি করে যে, আদানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি ট্যাক্স হ্যাভেন দেশের মাধ্যমে তাদের কোম্পানিগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এইভাবে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে হু হু করে বাড়ছে ধনীদের সংখ্যা! দেশে মোট কত কোটিপতি পরিবার রয়েছে? জানলে হবেন “থ”
প্রভাব পড়ে আদানি গ্রুপের ওপর: এদিকে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এহেন রিপোর্টের পর যথেষ্ট প্রভাবিত হয় আদানি গ্রুপ। শুধু তাই নয়, গ্রুপের কোম্পানিগুলির শেয়ারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এছাড়াও, মোট সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতেও পিছিয়ে পড়েন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। তবে, এবার সেবির তদন্ত রিপোর্টের পর আদানি গ্রুপ উল্লেখযোগ্য স্বস্তি পেয়েছে। গত ২ বছর ধরে এই বিষয়টি ভারতীয় শেয়ার বাজারে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নিয়মিত আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমতাবস্থায়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই ক্লিনচিট আদানি গ্রুপকে তার ব্যবসা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা জোরদার করতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, শুক্রবার শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পাবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।