বাংলাহান্ট ডেস্ক: ধনকুবেরদের তালিকায় ক্রমশ নীচের দিকে যাচ্ছেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এ বার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম ২৫-এর স্থানও হারালেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের (Hindenburg Research) রিপোর্টের ফলেই আদানি গ্রুপের (Adani Group) এই অধঃপতন হচ্ছে। ফোর্বস ও ব্লুমবার্গের ইন্ডেক্স অনুযায়ী, গৌতম আদানির মোট সম্পত্তি ৪৩.৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
এক সময় এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি ছিলেন গৌতম আদানি। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর ক্রমশ তাঁর সম্পত্তি কমতে থাকে। ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্স (Bloomberg Billionaire Index) অনুযায়ী, বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় ২৯ তম স্থানে রয়েছেন আদানি। অন্যদিকে, ফোর্বসের বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্স (Forbes Billionaire Index) অনুযায়ী, গৌতম আদানি রয়েছেন ২৬ তম স্থানে।
বুধবার আদানি গ্রুপের শেয়ারের দর আরও পড়েছে। ফলে এক দিনেই ৩.৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় গৌতম আদানির। এই মুহূর্তে ধনকুবেরদের তালিকায় ২৫ তম স্থানে রয়েছেন নাইকির ফিল নাইট ও তাঁর পরিবার। তাঁদের মোট সম্পত্তি ৪৬.৩ বিলিয়ন ডলার। উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি বিশ্ব ধনী তালিকায় তিন নম্বরে ছিলেন এই শিল্পপতি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইন্ডেক্স অনুযায়ী, সে দিন বিকে ৫টার সময় গৌতম আদানির সম্পত্তির মোট মূল্য ছিল ১১৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু তারপরেই তাল কাটে। এরপরেই আদানির বিরুদ্ধে নিজেদের রিপোর্ট প্রকাশ করে আমেরিকার আর্থিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। সেখানে ভারতীয় এই শিল্পপতির সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনে তারা।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ দাবি করে, আদানিরা কারচুপি করে তাদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন। এছাড়াও অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগও আনে তারা। এসবের ফলে আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম পড়তে থাকে। গৌতম আদানি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই ভারতের ধনীতম ব্যক্তির তকমা ধরে রেখেছিলেন। করোনা অতিমারির সময় ব্যাপক হারে উত্থান হয় তাঁর।
সেই সময়ে ৪২.৭ বিলিয়ন ডলার যোগ হয় তাঁর মোট সম্পত্তিতে। গোটা বিশ্বে সেটি ছিল পঞ্চম বৃহত্তম সম্পত্তি বৃদ্ধি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর নাগার অল্প সময়ের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির জায়গা পেয়েছিলেন গৌতম আদানি। সেই সময় তাঁর মোট সম্পত্তি ছিল ১৫৬.৩ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বিতর্কিত রিপোর্টটি প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। সেই সময় থেকেই ক্রমশ ক্ষতির মুখে পড়েছে আদানি গ্রুপ।